নতুন অর্থ বর্ষের প্রথম দিন থেকেই বদলে যাচ্ছে সোনা কেনার নিয়ম। সাম্প্রতিক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে এই নয়া নিয়ম কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। সেই দিন থেকে শুধুমাত্র সেই সোনার গহনা এবং সোনার বস্তু কেনা যাবে, যাতে ছয়-সংখ্যার হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন (HUID) বা, অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর দিয়ে হলমার্ক করা রয়েছে।
এবার সোনার (Gold) গহনায় ছয়-সংখ্যার হলমার্ক কোড থাকতেই হবে। হলমার্ক নেই এমন সোনার গহনা বিক্রি আগামী মাস থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবন্টন সংক্রান্ত মন্ত্রক।
সাম্প্রতিক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১ লা এপ্রিল ২০২৩ থেকে এই নয়া নিয়ম কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। সেই দিন থেকে শুধুমাত্র সেই সোনার গহনা এবং সোনার বস্তু কেনা যাবে, যাতে ছয়-সংখ্যার আলফানিউমেরিক HUID বা, অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর দিয়ে হলমার্ক করা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সভাপতিত্বে গত ৩ মার্চ ২০২৩-এ ভারতীয় মানরক্ষা পর্ষদের (BIS) একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
HUID হল ৬ অঙ্কের একটি আলফানিউমেরিক কোড। এই HUID প্রতিটি গয়নার জন্য আলাদা আলাদা হবে। অ্যাসেইং ও হলমার্কিং সেন্টারেই এই ইউনিক নম্বরটি সোনার গয়নার উপর খোদাই করে দেওয়া হবে। আগে HUID চার অঙ্কের হত। তবে ৩১ শে মার্চের পরে শুধুমাত্র ৬ অঙ্কের আলফানিউমেরিক কোড ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হবে। সোনা নকল না আসল তা জানতে গ্রাহকদের সাহায্য করে এই HUID। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ ও ৬ অঙ্কের হল হলমার্কিং নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সেই কারণেই ৪ অঙ্কের বাদ দিয়ে কেবলমাত্র ৬ অঙ্কের হলমার্কিং বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতে ছোটখাটো সোনার দোকানগুলিও ভালই ব্যবসা করে। এই দোকানগুলিতে অনেক সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি খাদ মিশিয়ে গহনা বিক্রি করেন। তাতে ক্রেতারা প্রতারিত হন। সেটি আটকাতেই গহনার গায়ে হলমার্ক বসানোর নিয়ম করে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু স্থানে ছোট দোকানগুলি এই নিয়ম মেনে চলত না। সেই কারণে এবার নিয়ম বলবৎ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের।