নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে করোনাতে সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। মৃতের সংখ্যা ৪৫২। আমাদের রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ যাতে আটকানো যায় তার জন্যই প্রথম দফার লকডাউনে এতদিন অবধি রাজ্যের অত্যাবশ্যকীয় ও আপৎকালীন কাজের সাথে যুক্ত বিভাগগুলিও বন্ধ ছিলো। কিছুদিন আগে মোদীজি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ান। এখন রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে এইসকল অত্যাবশ্যকীয় ও আপৎকালীন কাজের সাথে যুক্ত দপ্তরগুলি খুলে রাখা হবে তাতে সাধারণ মানুষ সমস্যাতে না পড়েন।
লকডাউনের প্রথম দফাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মত অল্প কয়েকটি বিভাগ যেমন ট্রেজারি, পুলিশ, দমকল, কারা ইত্যাদি বিভাগগুলি খোলা ছিল। বাদ বাকি বিভাগগুলি একেবারেই বন্ধ থাকার ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখি যে দপ্তরগুলি খোলা ছিলো সেগুলিতে অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়েই কাজ চলছিল আর সরকারি কর্মীদের ডিউটির সময়ও কম করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে রাজ্যের জুটমিল, ক্ষুদ্র নির্মাণ, ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা, ইটভাটা, ১০০ দিনের কাজ ইত্যাদি চলবে। যুগ্ম সচিব ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ২০ এপ্রিল থেকে কাজে আসার কথা সেদিনই বলেন তিনি। তবে তিনি তাদের প্রতিদিন আসার কথা বলেননি। তিনি বলেন যে ঐ সকল আধিকারিকরা একদিন অন্তর দপ্তরে আসবেন।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছেন ২০ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে সকল দপ্তরে কাজ শুরু করার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা একটি নির্দেশিকা জারি করেন। এই নির্দেশিকাতে বলা হয়, রাজ্য সরকার সোমবার থেকে সকল দপ্তরে কাজ শুরু করবে। তবে এই কাজ শুরু হবে দপ্তরের ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে। এই ২৫ শতাংশ কর্মীর মধ্যে কারা কবে আসবেন তা এখনো ঠিক হয়নি। সরকারী কর্মীরা কে কবে দপ্তরে আসবেন এটিও এখন ঠিক হয়নি। এই তালিকা পরে প্রকাশ হবে।পরিবহন মাধ্যম যেহেতু বন্ধ তাই সরকারী কর্মীরা কীভাবে অফিসে আসবেন তাও ঠিক করে বলা হয়নি বৃহস্পতিবার এর প্রকাশিত নির্দেশিকায়। হয়ত খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।