গৃহশিক্ষকতা অথবা কোচিং পড়াতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা, জারি হল নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা গৃহ শিক্ষকতা করাতে পারবেন না এমন নির্দেশিকা আগেই জারি রয়েছে। তবে অভিযোগ এই সকল নির্দেশিকাকে অমান্য করে দিনের পর দিন গৃহ শিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টারে পড়িয়ে যাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ। এবার এরই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য এবং জারি করা হলো নতুন নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গৃহ শিক্ষকতা ছাড়াও কোচিং সেন্টারেও পড়াতে পারবেন না তারা।

গত ২৭ জুন শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা গৃহ শিক্ষকতা করতে পারবেন না। কোনরকম কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতে পারবেন না এমনকি বিনামূল্যে টিউশন পড়ানোর যে দাবি তোলা হয় তাও করতে পারবেন না।

ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ‘রাইট অফ চিলড্রেন টু ফ্রি অ্যান্ড কমপালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট, ২০০৯’ সালের ২৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি সমস্ত স্কুল, মডেল স্কুল, এনআইজিএসগলির শিক্ষকরাও এই নির্দেশিকার আওতায় পড়ছেন।

তবে গৃহ শিক্ষকদের যে সংগঠন রয়েছে সেই সংগঠনের তরফ থেকে বারংবার অভিযোগ তোলা হয়, রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এমন নির্দেশিকা জারি করে রাখলেও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করেই গৃহ শিক্ষকতা করছেন। সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করে মোটা অংকের টাকা রোজগারের পাশাপাশি এই গৃহ শিক্ষকতা করে বাড়তি মোটা টাকা রোজগার করছেন।

সম্প্রতির দিন কয়েক আগেই গৃহ শিক্ষকতা নিয়ে নানান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ জেলার ৬১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষা দপ্তর। ওই সকল জেলার স্কুল পরিদর্শককে অ্যাকশন টোকেন জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।