চন্দন কর্মকার : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকারের ১১টি প্রকল্পকে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। তবে এই প্রকল্পের কর্মসূচি চলাকালীনও দেখা গেল তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! শুক্রবার বিস্ময়কর এমন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার এলাকায়। আর এর পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মীদের দুর্ব্যবহার নিয়ে।
‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কর্মসূচি অনুষ্ঠান চলাকালীন শুক্রবার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা সাঁইথিয়া ব্লকের অন্তর্গত বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি ক্যাম্পে। যেখানে হরিপদ দাস নামে এক সরকারী কর্মচারীর গায়ে হাত এবং টানাহেঁচড়া করতে দেখা যায় এলাকার তৃণমূল নেতা অরবিন্দ ব্যানার্জিকে। আর এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরকারি কর্মচারী হরিপদ দাসের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা অরবিন্দ ব্যানার্জি এলাকার এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদন করার জন্য। সে সময় ওই ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে বলা হলে নথিপত্র দেখান নি। বরং তৃণমূল নেতা অরবিন্দ ব্যানার্জি হম্বিতম্বি করতে শুরু করেন সরকারি কর্মীদের সাথে। যার পরেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় এবং তার গায়ে হাত তোলা হয়।
ঘটনার পর সরকারি কর্মচারীরা একজোট হয়ে ওই তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূল নেতার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, পাশাপাশি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই তৃণমূল নেতা অরবিন্দ ব্যানার্জি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।
আর এই ঘটনার পরে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কর্মসূচি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি সরকারি পরিষেবা মানুষের ঘরে পৌঁছাতে দিয়ে সরকারি কর্মচারীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।