নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ চার দশক পরে ভারত-চীন সীমান্তে ভারতের এতজন সৈনিকের প্রাণ হারানোর ঘটনার পিছনে রয়েছে চীনের রণকৌশলগত ও বাণিজ্যিক আধিপত্য স্থাপনের আকাঙ্খা।
লাদাখের যে গালওয়ান উপত্যকায় এই রক্তাত্ব ঘটনা ঘটেছে সেখানে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করাই চীনের এখন প্রধান লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত লে থেকে কারাকোরাম পাশ পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরিতে ভারতকে বাধা দেওয়া। কারণ জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর ভারত চীনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।
চীনের ধারণা ছিল সামান্য হাতাহাতিতে তাদের অবস্থান ওই এলাকায় পাকাপোক্ত হবে। কিন্তু ভারত ২০ জনের উপর সৈন্য হারালেও পাল্টা মার দিয়ে কেড়ে নিয়েছে চীনেরও বহু সেনার প্রাণ। যাতে চীনের পাশার দান উল্টে গেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে চীন সীমান্তে এত সৈন্য হারানোয় ভারতে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। চীনের আগাম পরিকল্পনা ধরতে না পারার কারণ হিসাবেই একে ধরা হচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যেই শহীদ সৈন্যদের নাম ঘোষণা করেছে। দেরী করে হলেও চীন ঘোষণা করছে তাদেরও মৃত সৈন্যদের নাম।
ভারতের ২০ জন অমরত্ব পাওয়া বীর যোদ্ধা
১. নায়েব সুবেদার সৎনাম সিং ২. নায়েব সুবেদার মনদীপ সিং ৩. সেপাই কুন্দন কুমার ৪. সেপাই আমন কুমার ৫. নায়েক দীপক সিং ৬. সেপাই চন্দন কুমার ৭. সেপাই গণেশ হাসাদা ৮. সেপাই গণেশ রাম ৯. সেপাই কে কে ওঝা ১০. সেপাই রাজেশ ওঝা১১. সেপাই সি কে প্রধান ১২. নায়েব সুবেদার নন্দুরাম সোরেন ১৩. হাবিলদার সুনিল কুমার ১৪. কর্নেল বি সন্তোষ রাণা ১৫. সেপাই জয় কিশোর সিং ১৬. হাবিলদার বিপুল রায় ১৭. সেপাই গুরুজির সিং ১৮. সেপাই অঙ্কুশ ১৯. সেপাই গুরুন্দর সিং ২০. হাবিলদার কে পালানি।
চীনের দুইজন মেজর, দুইজন ক্যাপ্টেন, চারজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও তিরিশের উপর সৈন্য মারা গেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করছে চীন এক নতুন ভারতের মুখোমুখি হয়েছে।