নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনকার দিনে অধিকাংশ বাড়িতেই পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। মোটরবাইকের পাশাপাশি এখন অধিকাংশ মানুষেরাই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের জন্য কিনে ফেলছেন চারচাকা গাড়ি। তবে চারচাকা গাড়ি কেনার থেকে বেশি ঠেলা হলো এর পিছনে খরচ। পেট্রোলের দাম দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ১০০ টাকার উপরে থাকার কারণে চারচাকা যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তবে এই খরচ এবার অতীত হতে চলেছে মুকেশ আম্বানির দৌলতে।
মুকেশ আম্বানি এবার গ্রিন এনার্জি ফুয়েল (Green Energy Fuel) তৈরি করার বিষয়ে নয়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কেননা তিনি যে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন সেই পদক্ষেপ অর্থাৎ গ্রিন এনার্জি ফুয়েল ভবিষ্যতের জ্বালানি হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর এই গ্রিন এনার্জি ফুয়েলের দৌলতেই চার চাকা যানবাহন এক কিলোমিটার যেতে খরচ হবে মাত্র ৪ টাকা।
গ্রিন এনার্জি ফুয়েলের দৌলতে একদিকে যেমন যানবাহন চালানোর খরচ কমে যাবে, ঠিক সেই রকমই আবার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। গ্রিন এনার্জি ফুয়েলের অংশ হিসাবে গ্রিন হাইড্রোজেন ভবিষ্যৎ জ্বালানি হতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কেননা পেট্রোল-ডিজেলের মত জ্বালানি ব্যবহার করার ফলে তা থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া নির্গত হয় এবং পরিবেশ দূষণ করে। গ্রিন হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার করলে সেই হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সময় বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশিয়ে ধোঁয়ার পরিবর্তে জল স্প্রে করবে।
আরও পড়ুন ? North Sikkim Tour: সহজ হচ্ছে উত্তর সিকিম ভ্রমণ, অবশেষে খুলে দেওয়া হলো গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা
মুকেশ আম্বানি এমন গ্রিন এনার্জি ফুয়েল তৈরি করার জন্য লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করতে চলেছে গ্রিন হাইড্রোজেন ও গ্রিন অ্যামোনিয়া ইউনিট। এই ইউনিট তৈরি করার জন্য লারসেন অ্যান্ড টুব্রো এক লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। গুজরাটের দীনদয়াল পোর্ট অথরিটিতে এমন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এমন প্ল্যান তৈরি করার জন্য লারসেন অ্যান্ড টুব্রো ছাড়াও সহযোগিতা করবে গ্রিনকো গ্রুপ এবং ওয়েলসপন নিউ এনার্জির মতো সংস্থা।
গত বছর অক্টোবর মাসেই এমন প্ল্যান্ট তৈরি করার জন্য চারটি কোম্পানি ১৪ টি প্লট কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এই প্লটের জন্য মোট চার হাজার একর জমি প্রয়োজন। এক একটি প্লট ৩০০ একরের হবে বলে জানা গিয়েছে। যে ১৪ টি প্লট তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই সকল এক একটি প্লটে বছরে ১০ লক্ষ টন গ্রিন এনার্জি ফুয়েল তৈরি করা সম্ভব। এই ১৪টি প্লটের মধ্যে ৬টি দেওয়া হয়েছে প্লট রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে, ৫টি দেওয়া হবে এল অ্যান্ড টি-কে, ২টি গ্রিনকো গ্রুপকে এবং ১টি দেওয়া হয়েছে ওয়েলসপন নিউ এনার্জিকে।