পৌর ভোটের আগেই বড়োসড়ো ভাঙ্গনের আশঙ্কা বীরভূম বিজেপিতে

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। এই পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল নির্বাচনী প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি প্রচারের প্রস্তুতি সারবে কোথায়! ত্বরান্বিত হচ্ছে ভাঙ্গন। পৌরসভা ভোটের আগেই বীরভূম বিজেপিতে এমনই বড়োসড়ো ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisements

এমনিতেই বীরভূম জেলা বিজেপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। আর এবার পৌরসভা ভোটের আগে দুবরাজপুর পৌরসভা এলাকার বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে জেগে উঠল বিদ্রোহ। সোমবার দুবরাজপুর পৌরসভা এলাকার জেলা কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে বুথ সভাপতি সহ মোট ৩০ জন পদাধিকারী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই সঙ্গে আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে অংশ গ্ৰহণ করা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন।

Advertisements

জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত চ্যাটার্জীর বক্তব্য, “বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা দলকে তৃণমূলের হাতে বিক্রি করে দিয়েছে এমনটাই অভিযোগ করেন। এছাড়াও তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য দলকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করছেন। তাই বিজেপির দুবরাজপুর শহরের বিভিন্ন পদাধিকারী মোট ৩০ জন আজ তাদের পদ ত্যাগ করার সাথে সাথে আসন্ন পৌরসভার নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন।”

Advertisements

অন্য দিকে বিজেপির বিধায়কের বক্তব্য, “দলীয় নীতি মেনে যারা কাজ করেন তাদের সর্বদা সম্মান দেওয়া হয় এবং যারা মেনে চলবে না, তাদেরকে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কাউকে তাড়িয়েও দিইনি, চলে যেতেও বলিনি। দলে থাকতে হলে দলীয় নীতি মেনে চলতে হবে।”

বিজেপির ভাঙ্গনে তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জী জানান, “ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে এবং অন্য একটা দলের সম্বন্ধে কুৎসা রটিয়ে একটা দল দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এবং অনুব্রত মণ্ডলের সাংগঠনিক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিজেপির কার্যকর্তারা প্রথমে WhatsApp গ্ৰুপ ছেড়েছেন, তারপর দল ছেড়েছেন। আজকেও যারা বিজেপি ছেড়েছেন তারা এলে স্বাগত।”

Advertisements