Government Portal Hacked: পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ‘তরুণ স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে, সরকার শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কেনার জন্য ১০,০০০ প্রদান করবে। এই প্রকল্পের অধীনে, একাদশ শ্রেণী পাস করে দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে এই ধরনের ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করা হবে। টাকা সরাসরি ছাত্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। যা দিয়ে তাদের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কিনতে ব্যবহার করতে পারেন। যথেষ্ট করা ভাবে এই টাকা ট্রান্সফার হলেও অবশেষে প্রতারকদের হ্যাক (Government Portal Hacked) করা থেকে রক্ষা পেল না সরকারও।
৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ, অর্থমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের ২০২৪-২৫ বাজেট পেশ করেন। এই স্কিমের অধীনে, একটি ট্যাবলেট/স্মার্টফোন কেনার জন্য সরকারি/সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত/স্পন্সর করা স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রতি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে ১০,০০০ টাকা এককালীন অনুদান দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৩.৬৭ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে, যার মধ্যে ২০২৩-২৪ সালের প্রায় ৯.৭ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ৪০,০০০ শিক্ষার্থী এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। এই প্রকল্পের অধীনে ৯০০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ফের পেছালো প্রাথমিক টেট! আইনি জটের ফলে নিয়োগ দেরি
এই টাকা লেনদেন সরাসরি সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে হয়ে থাকে। কখনো ভাবতে পেরেছেন কি সরকারি অ্যাকাউন্ট (Government Portal Hacked) হ্যাক করা সম্ভব হবে? এবার এমন একটি ঘটনা শেয়ার করতে চলেছি আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। বর্তমানে টেকনোলজির সাথে সাথে প্রতারকদের বুদ্ধির ধারও বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। যার ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে জালিয়াতে করা হলো এই ট্যাবের টাকা।
আরো পড়ুন: কলকাতা স্থান পেল বিশ্বের সেরা শহরের তালিকায়, কি প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পূর্ব মেদিনীপুরে চলছিল ‘তরুণ স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট কেনার টাকা বিতরণ। ঠিক সেই সময় একদল প্রতারক সরকারি অ্যাকাউন্ট হ্যাক (Government Portal Hacked) করে। শুধু তাই নয় সরকারি পোর্টাল হ্যাক করে সেইখানে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এর জায়গায় নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বসিয়ে দেয়। একজন বা দুজন নয়, মোট সাত জন মিলেই কাজটি করে। যার ফলে ৭ লক্ষ টাকা জালিয়াতি হয় সরকারের অ্যাকাউন্ট থেকে।
প্রথমে এর হদিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু ৭৮ হাজার ছাত্র ছাত্রীর কাছে টাকা পৌঁছে যাওয়ার পরও যখন রিপোর্ট আসে যে চারটি স্কুলের ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী টাকা পায়নি সেই সময়ে খোঁজ খবর শুরু হয়। তার কারণ ইতিমধ্যে তাদের নামে টাকা ইস্যু করা হয়। কিন্তু তাদের একাউন্টে কোন টাকা যায়নি। অবশেষে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয়ের পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র স্বয়ং এই ঘটনার তদারকি করেন এবং এই জালিয়াতির ঘটনা সরকারকে সরাসরি জানান। এখনো প্রতারকদের হদিস পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা বড়ই বিপাকে পড়েছে টাকাটি না পেয়ে।