নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝে মাঝে এই জিএসটি কাউন্সিলের তরফ থেকে বৈঠক করা হয়ে থাকে। এই বৈঠকে বিভিন্ন পণ্যের উপর জিএসটি সম্পর্কিত নানান পরিবর্তন করা হয়। সেই রকমই ২৮ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিএসটি সংক্রান্ত একাধিক রদবদল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সদ্যসমাপ্ত হওয়া জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সোনা এবং বহু মূল্যবান পাথরের ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য নিয়ে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে একটি ওয়েবিল চালু করার ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি কর মুক্ত থাকা বেশ কিছু পণ্যকে করের আওতায় আনা হয় এবং বেশ কিছু দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর শুল্ক পরিকাঠামো সংশোধন করা হয়। অন্যদিকে এর পাশাপাশি যাতে কর ফাঁকি দেওয়া না যায় তার জন্য বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ, বিদ্যুতের বিল সংযুক্ত করা ইত্যাদি নানান ব্যবস্থা আনা হচ্ছে।
যে সকল ক্ষেত্রে জিএসটি পরিকাঠামো সংশোধন করা হয়েছে সেগুলি হল, চামড়াজাত পণ্য, মাটির ইট তৈরির পরিষেবার করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এলইডি আলো, কালি, ছুরি, ব্লেড, বিদ্যুতচালিত পাম্প, চামচ, কাঁটা চামচ, দুগ্ধ শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর জিএসটির হার ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মুড়ি, গমের আটা, দই, লস্যির মতো খাদ্যপণ্যগুলিকে প্যাকেট করা খাদ্যপণ্যের আওতায় আনা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার এই সকল খাদ্যপণ্যের উপর ৫% জিএসটি গুনতে হবে। এছাড়াও হোটেলে থাকার যে দৈনিক খরচের ক্ষেত্রে হাজার টাকার কম হলে জিএসটি ছাড় দেওয়া হতো তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার হোটেলের ভাড়া হিসাবে জিএসটি বাবদ ১২ শতাংশ গুনতে হবে। আইসিইউ বাদে যে সমস্ত হাসপাতালের বেড ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা, সেই সকল ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫% জিএসটি গুনতে হবে।