অতিথি শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী, জানালেন বন্ধ করা যাবেনা ভাতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তেই দেশে জারি হয় লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ স্কুল কলেজ। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অন্যান্য শিক্ষকদের পাশাপাশি গৃহবন্দী অতিথি শিক্ষকরাও। আয় নেই, অথচ রয়েছে খরচ। আর এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ অভিযোগ উঠতে করতে শুরু করে অতিথি শিক্ষকদের ভাতা বন্ধ করে দিচ্ছে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সুখবর শোনালেন অতিথি শিক্ষকদের।

শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি ভাবে লিখেছেন, “আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে সমস্ত কলেজ নিজেরাই অতিথি শিক্ষক নিয়েছিলেন তাদের কলেজ পরিচালন সমিতি ভাতা দেওয়া বন্ধ করেছে।”

আর তার পরেই তিনি স্কুল ও কলেজের পরিচালন সমিতিকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, “রাজ্য সরকার যখন প্রয়োজন ও ইউজিসি নিয়মাবলীকে সামনে রেখে একটা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে ঠিক তখনই কলেজ পরিচালন সমিতি তাদের নেওয়া অতিথি শিক্ষকদের নিজেদের থেকে ভাতা দেওয়া বন্ধ করেছেন। রাজ্য সরকারের দৃষ্টিতে এ বিষয়ে বেশ কিছু অতিথি শিক্ষক অভিযোগ জমা দেওয়ার ফলে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রামিত সারা দেশ রাজ্য সেই প্রেক্ষাপটে কলেজ যখন নিজেরাই তাদের ভাতা ভিত্তিতে নিয়েছে তাদের সেই ভাতা দেওয়া যেন বন্ধ না করা হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

গত বছর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিকা বের করে জানিয়েছিলেন, শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যে কাউকে নিয়োগ করতে পারবেনা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, কলেজের পরিচালন সমিতি শিক্ষা দপ্তরকে না জানিয়েই এককভাবে নিয়োগ করছে অতিথি অধ্যাপক।

এছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, ইউজিসি’র নিয়ম অনুযায়ী যে সকল অতিথি অধ্যাপকদের যোগ্যতা রয়েছে তারা কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা পাবে স্থায়ীকরণের বিষয়ে। পাশাপাশি যাদের যোগ্যতা নেই তাদের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা দপ্তর। তবে শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনভাবেই কলেজে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ করা যাবে না।