বাস-ট্রেন-বিমানে যাত্রার আগে দেখে নিন কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলার পর থেকেই জারি হয় লকডাউন। আর দেখতে দেখতে এই লকডাউন পা দিয়েছে চতুর্থ দফায়। চতুর্থ দফার লকডাউনে বিপুল পরিমাণে শিথিলতা আনা হয়েছে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। খুলেছে দোকান পাট, শুরু হয়েছে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াত। তবে দোকানপাট খোলা অথবা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য বা অন্য জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রী ও রাজ্য অথবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে মেনে চলতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নির্দেশিকা।

কেন্দ্র সরকার দ্বারা প্রদত্ত ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা

১) প্রতিটি টিকিটে যাত্রীদের কি কি করনীয় এবং কি কি করনীয় নয় সেটা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে সেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

২) প্রত্যেক যাত্রীকে তাদের মোবাইল ফোনে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে হবে।

৩) প্রতিটি রাজ্য অথবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। পাশাপাশি সেই সকল যাত্রীদেরই যেন যাত্রা করতে দেওয়া হয় যাদের কোনো রকম উপসর্গ নেই।

৪) করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদ্ধতিগুলি এয়ারপোর্ট, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিমান, বাস এবং ট্রেনের ভিতর মেনে চলতে হবে।

৫) যাত্রাকালে প্রত্যেক যাত্রীদের মুখ ঢেকে রাখা অথবা মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি যাত্রীদের যাতায়াতের সময় হাত পরিষ্কার রাখা, শ্বাস-প্রশ্বাস ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা।

৬) বিমানবন্দর, রেলস্টেশন অথবা বাসস্ট্যান্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

৭) বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডকে স্যানিটাইজ করা এবং জীবাণুমুক্ত রাখা।

৮) যাত্রীদের যাত্রা সম্পন্ন করার পর অর্থাৎ বাড়ি যাওয়ার আগেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা।

৯) যাত্রা শেষ করে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি (হোম কোয়ারেন্টাইন) মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া। এই সময় যদি কোন রকম উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে জেলার আধিকারিকদের অথবা রাজ্য ও কেন্দ্রকে জানাতে হবে। জানানোর জন্য কল করতে পারবেন ১০৭৫ নম্বরে।

১০) কোন যাত্রীর কোন রকম উপসর্গ দেখা দেখা দিলেই তাকে সঙ্গে সঙ্গেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আইসোলেশনের বন্দোবস্ত করা।

১১) যদি কোন উপসর্গ থাকা ব্যক্তির শরীরে উপসর্গও বাড়তে শুরু করে তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা।

১২) মৃদু উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের আইসোলেশন অথবা কোভিড কেয়ার সেন্টারে আইসিএমআর-এর প্রটোকল মেনে টেস্টের জন্য নমুনা দেওয়া। তাদের রিপোর্ট পজিটিভ এলে তারা কোভিড কেয়ার সেন্টারে থাকতে পারেন নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে। আর যদি টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসে সে ক্ষেত্রে তাদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে এবং হোম আইসোলেশন থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে এরপরেও সাতদিন সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

মূলত চতুর্থ দফার লকডাউন চলাকালীন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং বাস, ট্রেন ও বিমান পরিষেবা ধাপে ধাপে চালু করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ২৪ মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে এই নির্দেশিকাগুলি জারি করা হয়।