বাংলায় মদের দোকান খুললেও রাখা হয়েছে ১৫টি শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পর ৪ মে থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। করোনা আবহে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও তৃতীয় দফার লকডাউনে মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে মিলেছে ছাড়। কেন্দ্রের তরফ থেকে ছাড় পাওয়ার পর দেশের প্রতিটি রাজ্য মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গেও মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন পাওয়া গেছে। তবে বাংলায় মদের দোকান খোলা হলেও রাখা হয়েছে ১৫ টি শর্ত। বাংলায় মদ কেনার ক্ষেত্রে এই শর্তগুলি আপনাকে মেনে চলতে হবে।

১) কনটেইনমেন্ট জোনে কোনরকম মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

২) শপিং মল অথবা শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা কোন মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

৩) কোনো বার বা রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্লাবের সাথে থাকা মদের দোকান খোলা ও বসে মদ খাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র F.L. off কাউন্টার খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

৪) অন শপগুলি আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

৫) এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের সুপারিনটেনডেন্ট তার এলাকার কোন কোন দোকানগুলি খোলা থাকবে তা জানাবেন এলাকার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

৬) জেলার প্রশাসনিক কর্তারা ভিড় ও অন্যান্য বিশৃংখলা রুখতে এক্সাইজ দপ্তরকে সাহায্য করবে।

৭) মদের দোকানের সামনে মার্কিং করে রাখা বাধ্যতামূলক। যেখানে দুটি মার্কিংয়ের মধ্যে অন্ততপক্ষে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি প্রবেশ করানো যাবে না।

৮) যে কোন প্রকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে দোকানের তরফ থেকে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করতে হবে।

৯) একসঙ্গে এক সময় এক ব্যক্তিকে দুটির বেশি মদের বোতল দেওয়া যাবে না।

১০) প্রত্যেক সময় বিক্রির পর দোকানদারকে তার কাউন্টার স্যানিটাইজ করতে হবে।

১১) মদের দাম বাড়ার নির্দেশিকা দোকানের সামনে ঝোলাতে হবে যাতে কোনো রকম বিশৃংখলা না হয়।

১২) দোকান খোলা যাবে দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।

১৩) কেবলমাত্র সিল মদের বোতল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

১৪) কোন গ্রাহক যদি মাস্ক না পড়ে দোকানে আসেন তাহলে তাকে কোনোভাবেই মদ বিক্রি করা যাবে না।

১৫) মোদের হোম ডেলিভারি করা যাবে বেঙ্গল এক্সাইজ আইন (১৯০৯) অনুযায়ী।