সিউড়ির আবাসনে উদ্ধার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত দেহ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের সিউড়ি শহরের ডাঙ্গালপাড়ার একটি আবাসনে বুধবার সকালে এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং দমকল বাহিনী এসে ওই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

Advertisements

মৃত ওই সরকারি ইঞ্জিনিয়ার হলেন স্বপন কান্তি মন্ডল। তার বয়স ৪৩ বছর। তিনি বীরভূমের বাসিন্দা ছিলেন না বলেই জানা যাচ্ছে। যে আবাসনে ওই ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তিনি হাওড়া আন্দুলের বাসিন্দা ছিলেন। সিউড়িতে ডাঙ্গালপাড়ায় এই আবাসন তৈরি হওয়ার পর তিনি সেখানেই বসবাস করতেন।

Advertisements

বুধবার সকালে ওই আবাসনে বসবাসকারী অন্যান্যরা দেখতে পান বেলা দশটা বেজে গেলেও তার রুমের দরজা বন্ধ রয়েছে। এরপরেই লক্ষ্য করা যায় ওই ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তারা আবাসন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন এবং আবাসন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনে খবর দেন সিউড়ি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে। পুলিশ এবং দমকল বাহিনী এসে ওই ইঞ্জিনিয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

Advertisements

আবাসন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “এই মাসের দু’তিন তারিখ করেই উনি আবাসনের ভাড়া বাবদ যে টাকা ধার্য করা হয় তা আমাদের পেমেন্ট করেছিলেন। সেই ভাবেই তো উনার সাথে যোগাযোগ ছিল না। কেবলমাত্র পেমেন্টের সময় উনি অনলাইনে পেমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিতেন। উনি কেন এমন পথ বেছে নিলেন তা বলা খুব কঠিন।”

অন্যদিকে পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উৎপল চৌধুরী জানিয়েছেন, “উনি আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। মাঝে মাঝে উনার সঙ্গে দেখা হতো। খুবই হাসি খুশি লোকই ছিলেন। কিন্তু কেন এমন পথ বেছে নিলেন তা বলা খুবই দুরূহ। উনি আমাদের জেলায় খুব বেশিদিন কাজে যোগ দেননি।”

Advertisements