নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র আর কয়েক ঘণ্টা তারপরেই বীরভূমের দুই লোক সভা কেন্দ্র বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। আর এই ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগেই শনিবার বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ছাদে পত পত করে উড়ছে গেরুয়া পতাকা (Hanuman Ji’s Flag on Anubrata House)। যে পতাকায় জ্বলজ্বল করছেন হনুমানজি।
শনিবার এমন ঘটনা চোখে পড়তেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতুহল শুরু হয়। আবার এই ঘটনা নিয়ে বিতর্কও দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ির ছাদে এমন পতাকা কে টাঙ্গালেন তা নিয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাহারাদার পুলিশ থেকে শুরু করে কেউই ওই পতাকা সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না।
অনুব্রত মণ্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের পরিস্থিতি এখন আমরা প্রত্যেকেই জানি। যে অনুব্রত মণ্ডল বছরের পর বছর ধরে বীরভূমের শেষ কথা ছিলেন তিনি এখন গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিহার বন্দি। তবে তিনি তিহার বন্দি হলেও এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের নেতা কর্মী থেকে শুরু করে অনুরাগীরা তাকে ‘বীরভূমের বাঘ’ই বলে থাকেন। আর এই রকম একজন দাপুটে তৃণমূল নেতা যখন জেলবন্দী সেই সময় তার বাড়ির ছাদেকে গেরুয়া হনুমানজির পতাকা লাগালেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
হনুমানজি এবং শ্রীরামচন্দ্রের ছবি দেওয়া জয় শ্রীরাম পতাকা বছরের পর বছর ধরে রামনবমী থেকে শুরু করে হনুমান জয়ন্তী ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই ধরনের পতাকা এখন বহু বাড়ির ছাদে দেখা যায়। তবে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ছাদে এমন পতাকা রীতিমতো রাজনৈতিক প্রশ্ন ছুঁড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের তরফ থেকে একের পর এক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যদিও তৃণমূল বারবার দাবি করে এসেছে, ভগবান শ্রীরাম কারো একা নয়।
বাস্তু মতে বাস্তু মেনে যদি বাড়ির ছাদে হনুমানজির ছবি দেওয়া গেরুয়া পতাকা টাঙ্গানো হয় তাহলে দুর্ভাগ্য সরে যায়। এক্ষেত্রে যেভাবে মাসের পর মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল জেলবন্দি রয়েছেন, তাতে আবার অনেকেই মনে করছেন, দুর্ভাগ্য কাটাতেই হয়তো পরিবারের কেউ অথবা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সঙ্গে যুক্ত কেউ এমন পতাকা বাড়ির ছাদে লাগিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিষয়টিও ধরা যেতে পারে। কেননা শুক্রবার তিনি অন্তর্ভুক্তি জামিন পাওয়ার পর জানিয়েছিলেন, বজরংবলীর কৃপায় জামিন পেয়েছেন। এমনকি জামিন পেয়েই তাকে বজরংবলীর শরণাপন্ন হতে দেখা গিয়েছিল।