নিজস্ব প্রতিবেদন : ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত বুধবার বিকাল বেলায় প্রয়াত হন। এদিন সকালে তার এই কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে। ঘটনার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
সকাল থেকেই এই দুর্ঘটনার পর সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত কেমন রয়েছেন সেই কৌতুহল দেশের মানুষদের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বিকালে নিশ্চিত করা হয় সস্ত্রীক প্রাণ হারিয়েছেন বিপিন রাওয়াত। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দেশের বীর জওয়ানদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক বীর জওয়ান।
কোয়েম্বাটোরের সুলুর এয়ারবেস থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়া সেনাবাহিনীর (army mi-17 copter) এই কপ্টারে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বীর জওয়ান সৎপাল রাই। সৎপাল ছিলেন সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। এই কপ্টার দুর্ঘটনায় যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত ছাড়াও ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্টান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, ল্যান্সনায়েক গুরসেবক সিং, ল্যান্সনায়েক জিতেন্দর কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, নায়েক বি সাই তেজা, হাবিলদার সৎপাল রাই এবং পাইলটরা, উইং কমান্ডার পিএস চৌহান, স্কোয়াড্রন লিডার কে সিং, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রানাপ্রতাপ দাস এবং জুনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার প্রদীপ এ।
পশ্চিমবঙ্গের মৃত বীর জওয়ান সৎপাল রাই হলেন দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে তিনি তাতে তিনি রঙ্গলি রংলিয়ট থানার অন্তর্গত কাটুসায়ের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাহাদুর সিংহ রাই এবং মা সন্তু মায়া রাই। মৃত এই বীর জওয়ানের স্ত্রী হলেন মন্দিরা রাই। জানা যাচ্ছে, সৎপাল এবং তার ছেলে বিকাল রাই দুজনেই ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন। সকালেই দুজনের মধ্যে কথা হয়েছিল।
সেনা কাপটার দুর্ঘটনায় বাংলার এই বীর জওয়ানের শহীদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে দার্জিলিং জুড়ে। এই দুর্ঘটনায় এই জাওয়ানের মৃত্যুর খবরের পরেই দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা লিখেছেন, “হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তিনি দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা ছিলেন।”