বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যাপক জনপ্রিয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কোটি কোটি গ্রাহক রয়েছে দেশে। তবে এমন একটি ব্যাঙ্কের শাখায় এমন ঘটনা ঘটলো যা রীতিমতো গ্রাহকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা যে শাখার কথা বলা হচ্ছে ওই শাখায় সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে ছেলেখেলা করা হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার হয়েছেন ম্যানেজার ও কর্মী।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার হায়দ্রাবাদের সামসেরগঞ্জ এলাকায় থাকা একটি শাখায় এমন ঘটনায় ১৭৫ কোটি টাকার ঘাপলা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার ও কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্বাভাবিকভাবে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা এমন ঘটনা আপনার সঙ্গেও যদি কোনদিন ঘটে তাহলে কি হবে?
যে শাখার কথা বলা হচ্ছে ওই শাখায় কমিশনের বদলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া থেকে শুরু করে টাকা তুলতে সাহায্য করা, কালো টাকা সাদা করতে একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য জনের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা ইত্যাদি একাধিক বেআইনি মূলক কাজের ক্ষেত্রে সাহায্য করতেন ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এবং কয়েকজন কর্মী। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ তদন্তে নেমে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন : UPSC Exam: UPSC পরীক্ষায় বসতে গেলে অবশ্যই লাগবে এই নথিগুলো, সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় সরকার
পুলিশের তরফ থেকে ওই শাখার ম্যানেজার মধুবাবু গালিকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে এক জিম ট্রেনারকে। তিনিও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছে সাইবার সিকিউরিটি ব্যুরো। ওই ব্রাঞ্চের ৬টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অন্ততপক্ষে ৬০০ টি অভিযোগ জমা পড়েছিল এনসিআরপি পোর্টালে। আর এরপরই তদন্তে নেমে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে লেনদেন হয়েছে। টাকা লেনদেন হত হাওয়ালার। আর এই চক্রের মূল মাথা কাজ করতেন দুবাই থেকে।
তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, নানান ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচজন ব্যক্তির বিভিন্ন নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হতো এবং সেই সকল অ্যাকাউন্টগুলি থেকে হাওয়ালার টাকা লেনদেন করা হতো। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট প্রথম দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের সূত্র ধরেই ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও কয়েকজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো ব্যাঙ্কের শাখায় এমন ঘটনা রীতিমত উদ্বেগ তৈরি করছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে।