নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ই মে নবান্নে করোনা সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ‘এখনই করোনাভাইরাস চলে যাবে বলে মনে হয় না’। যে কারণে তিনি লকডাউন কড়াকড়ি ভাবে চলার পাশাপাশি কাজ চলার কথাও জানান।
অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেমন থাকবে লকডাউন তেমনি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বজায় থাকবে। আর এই অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তিনি জানিয়েছিলেন, “আমাদের তিন মাসের পরিকল্পনা করতে হবে। রেড জোনের মধ্যে A B ও C এই তিন ভাগ করা হবে।”
আর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো এবার রাজ্যের যেসকল জেলাগুলি রেড জোন ভুক্ত রয়েছে সেই জেলাগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা শুরু হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই হাওড়া, দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদের বর্তমান A B ও C তালিকাভুক্ত এলাকা সামনে এসেছে।
হাওড়া
দিনাজপুর
মুর্শিদাবাদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
রেড জোনের মধ্যে থাকা A এলাকাভুক্ত জায়গাগুলিতে কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না। B এলাকাভুক্ত জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। আর যে সকল এলাকাগুলি C হিসাবে চিহ্নিত করা হবে, সে সকল এলাকার বাইরে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। এই C চিহ্নিত এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে।
রেড জোন ভুক্ত এলাকায় গত ২১শে মে থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাড়ের কথা থাকলেও এরই মাঝে রাজ্যে আছড়ে পড়ে সুপার সাইক্লোন আমফান। যে কারণে ধীরে ধীরে বিভিন্ন রেড জোন জেলার A B ও C তালিকা সামনে আসছে।