দরকার নেই কাউন্টারে যাওয়ার, বাড়ির দোরগোড়াতেই আসতে চলেছে ATM

নিজস্ব প্রতিবেদন : সামাজিক দূরত্ব, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এসব থেকে দূরে থাকতেই দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউন জারি হলেও সঠিক ভাবে এই সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানা সম্ভব হচ্ছে কি? বাজারে গেলে সেখানেও লাইন, গ্যাস তুলতে গেলেও লাইন, এমনকি এটিএমে টাকা তুলতে গেলেও লাইন। ফলে যে কারনে এই লকডাউন, হঠাৎ সংক্রমণ ঠেকানো, তা কতটা সম্ভবপর হয়ে উঠছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? তবে এবার এই লাইনের কথা মাথায় রেখেই বড় পদক্ষেপ নিলো দেশের সবথেকে বড় হোম লোন প্রদানকারী সংস্থা এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক।

এটিএম হোক অথবা ব্যাঙ্কে, যাতে লাইন না পরে তার জন্য তারা নিয়ে এসেছে ‘মোবাইল এটিএম’। এই ব্যবস্থা চালু হলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি থাকবে না, এমনকি গ্রাহকদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটিএম কাউন্টারেও যেতে হবে না। এই মোবাইল এটিএম পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের বাড়ির দোরগোড়ায়। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা খুব তাড়াতাড়ি তারা দেশের সর্বত্র চালু করতে চলেছে। যার ফলে ব্যাঙ্ক ও এটিএমে ভিড় কমবে। গ্রাহকরা বাড়ির দোরগোড়ায় টাকা তুলে নিতে পারবেন।

কিভাবে পাওয়া যাবে পরিষেবা?

সংস্থার তরফ থেকে গত ৮ তারিখ প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আপাতত এই ব্যবস্থা মুম্বই ও নয়ডাতে শুরু হয়ে গেছে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে গোটা দেশেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। দেশের যে যে অঞ্চলগুলিতে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে সেখানে তিন থেকে পাঁচটি জায়গায় এই মোবাইল এটিএম ভ্যান পৌঁছে যাবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এই মোবাইল এটিএম ভ্যানগুলিতে পরিষেবা পাওয়া যাবে।

তবে সংস্থার তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, এই মোবাইল এটিএম ব্যাঙ্কগুলিতে কি কেবলমাত্র এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাই টাকা তুলতে পারবেন, নাকি অন্যান্য ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও টাকা তোলার মত সুবিধা পেতে পারেন।

এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কথা অনুযায়ী, “আমরা চাই বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা বাড়িতেই থাকুক। তারা যতটা সম্ভব অনলাইনে পরিষেবা বহন করুক। আর যতটুকু নগদ টাকার প্রয়োজন তার জন্য আমরা এই মোবাইল এটিএমের মত পদক্ষেপ নিয়েছি। এর ফলে গ্রাহকদের এটিএম কাউন্টারের ছুটে আসতে হবে না, ঠিক তেমনি ভিড়ও কমবে। বাড়ির সামনে থেকেই গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারবেন।”