‘এত নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা নেই’, ছাত্রীর মাধ্যমিক মার্কশীট আটকে রেখেছেন প্রধান শিক্ষিকা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

প্রতিম মস্করা : মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়া সপ্তাহ পার করলেও এখনো এক মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে তার মার্কশিট দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ব্লকের অন্তর্গত নলহাটি হাই স্কুল ফর গার্লস বিদ্যালয়ে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন তার নাকি এই নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা নেই। যে কারণেই তাকে মার্কশিট দেওয়া হয়নি।

Advertisements

ওই স্কুলের যে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে সেই ছাত্রীটি হলেন অনন্যা মণ্ডল। ওই ছাত্রী দাবি করেছেন, মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ওয়েবসাইটে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে দেখতে পান তার মোট নম্বর রয়েছে ৬৫১। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রী এই নম্বর পেতে পারে না এমনটা দাবি করে ওই ছাত্রীর মার্কশিট আটকে রেখেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন।

Advertisements

জানা যাচ্ছে, ওই স্কুলে এক নাম ও এক বাবার নামে আরও একজন ছাত্রী রয়েছেন। এখন প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিনহার দাবি, ওই নামে আরও একজন যে ছাত্রী রয়েছেন তিনি ৪০০ নম্বর পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই যে ছাত্রী ৬৫১ নম্বর পেয়েছেন তা নিয়ে কোনো গন্ডগোল হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কাগজ পাঠানো হবে পর্ষদে এবং পর্ষদ যা সিদ্ধান্ত নেবেন তারপরই মার্কশিট দেওয়া হবে।

Advertisements

একই নাম এবং বাবার নাম থাকার কারণে এই বিভ্রাট শুরু হলেও দুই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর আলাদা। সে ক্ষেত্রে অনন্যা মণ্ডল নামে যে ছাত্রীটি ৬৫১ নম্বর পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তার নম্বর এখনো ওয়েবসাইটে ৬৫১-ই দেখাচ্ছে। ওয়েবসাইটে এমন নম্বর দেখানো সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা কোন মতেই মেনে নিতে নারাজ। যে কারণেই তারা ওই ছাত্রীর মার্কশিট আটকে রেখেছেন।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহের শনিবার থেকে ওই ছাত্রী এবং তার অভিভাবকরা বারবার স্কুলে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া তো দূরের কথা বরং দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে তারা জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিনহা বারংবার দাবি করছেন, “আপনারা সবাই জানেন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমার স্কুলের দুজন ছাত্রী নম্বর পেয়েছে। তারা ওই কম নম্বর পাওয়ার মতো ছাত্রী নয়। যে কারণে তিনজনের ফলাফল পুনরায় যাচাই করার জন্য পর্ষদে পাঠিয়েছি। এখন পর্ষদ যা সিদ্ধান্ত নেবে তার উপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Advertisements