স্বস্তির খবর, স্বাস্থ্য থেকে গাড়ির বীমা জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ালো কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। আগে লকডাউনের সময়সীমা ছিল ১৪ই এপ্রিল। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩রা মে অব্দি। এই সমস্তটাই করা হয়েছে দেশবাসীদের স্বার্থে। যেহেতু এখনও এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বার করা যায়নি। তাই এই মুহূর্তে ঘরে থাকাটাই একমাত্র নিরাপদ।

এই লকডাউনের ফলে ভারতবর্ষকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে জেনেও প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে শুধুমাত্র মানুষের প্রাণের কথা ভেবে।

এখন মানুষ তো ঘরেই রয়েছেন। কিন্তু যাদের স্বাস্থ্য ও গাড়ির বীমা করা রয়েছে তারা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। লকডাউন চলছে। সমস্ত যান-বাহন পরিষেবা ও বন্ধ। এই অবস্থায় তারা কি করে তাদের বীমাগুলিকে পুনর্নবীকরণ করবেন? এই বিষয়টি তাদেরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো। তবে এই বিষয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একটি ঘোষণা করেন।যেখানে তিনি বলেন বীমা পুনর্নবীকরণের তারিখ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন “বীমার জন্য প্রত্যেককেই ১৫-০৫-২০২০ পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ জমা করলেই হবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর মধ্যবিত্তরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এখন অব্দি করোনা সংক্রামিতের মানুষের সংখ্যা ভারতবর্ষে ১২,০০০ পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন করোনাতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার বারংবার মানুষকে সচেতন করার প্রচেষ্টা করছেন তবুও কিছু মানুষ এই লোকটিকে অবহেলা করছেন এবং তারা সচেতন হচ্ছে না এই বিষয়ে কারণে-অকারণে তারা বাইরে বের হচ্ছেন। প্রতিটি মানুষ যদি সচেতন না হন তাহলে এই লকডাউন ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে যে আপনারা এই লকডাউনকে হেলাফেলা করে নেবেন না। ঘরে থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।