লাল্টু মুখার্জি : চিকিৎসা ক্ষেত্রে দিন দিন উন্নত হচ্ছে বীরভূম। সরকারি চিকিৎসার পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন নার্সিংহোম, হাসপাতাল ইত্যাদির মাধ্যমে জেলার চিকিৎসার ম্যাপে আসছে পরিবর্তন। ঠিক সেই রকমই এবার বীরভূমে বসেই করানো যাবে হার্টের চিকিৎসা (Heart Treatment in Birbhum), ভিন জেলা বা ভিন রাজ্যে না গিয়েই জেলায় বসেই হবে হার্টে স্টেন্ট বসানোর মত চিকিৎসা। এই চিকিৎসা আবার হতে পারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
ইদানিংকালে মানুষের শরীরে রোগের অভাব নেই। রোগের সংখ্যা এখন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে চিকিৎসা এবং ওষুধের পিছনেই সাধারণ মানুষদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। আবার যে সকল রোগ মানুষের শরীরে এখন বাসা বাঁধছে তার মধ্যে বড় একটি রোগ হলো হার্টের রোগ। হার্টের রোগ কতটা ভয়ংকর তা প্রত্যেকেই জানেন। যে হার্ট না চললে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণেই হার্ট সুরক্ষিত রাখা একজন মানুষের কাছে সবচেয়ে জরুরি।
হার্টের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বীরভূমে এমন উন্নত পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে দুবরাজপুর এলাকায় থাকা মনিমহেশ হাসপাতালে। হাসপাতালটি বেসরকারি হলেও এই হাসপাতালেই এখন বিখ্যাত সব হার্ট স্পেশালিস্ট চিকিৎসকেরা আসছেন। আবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধাও মিলছে এই হাসপাতালে। যে কারণে যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তারা হার্টের চিকিৎসা সহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বিনামূল্যে পাচ্ছেন বেসরকারি এই হাসপাতাল থেকে।
গত শনিবার ও রবিবার দু’জন বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বুকে ব্যথা হতো। কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ উমেশ চন্দ্র জেনা, ডাঃ অভিজিৎ ঘোষ তাদের চিকিৎসা করেন এবং তাদের এনজিওগ্রাম করার দরকার আছে বলে জানান। এরপরই জানা যায় তাদের দুজনেরই হার্টে ব্লকেজ রয়েছে। একজনের দুটি স্টেন্ট ও একজনের তিনটি স্টেন্ট প্রয়োজন ছিল। স্টেন্ট বসানোর ক্ষেত্রে অনেক খরচ হলেও তারা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে পরিষেবা পেয়ে যান।
স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন আছে জানতে পারার পর রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুমোদন নিয়ে তাদের অপারেশন করা হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই তাদের দুজনেরই এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা পরিষেবা তারা পান। বিনামূল্যে, তাও আবার ঘরের কাছে এমন ব্যয়বহুল চিকিৎসা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামের শেখ সবের ও দুবরাজপুর থানার ধ-গ্রামের শেখ সঈদ। তারা জানান, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে এই চিকিৎসা তাদের হয়েছে। মনিমহেশ হাসপাতালের প্রত্যেকের ব্যবহার ও পরিষেবা অকল্পনীয়।