নিজস্ব প্রতিবেদন : মার্চ মাসের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই তাপমাত্রার পারদ মাসের শেষের দিকে একপ্রকার অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিপত্য। সকাল থেকে আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলেও বেলা গড়াতেই চাঁদিফাটা রোদে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না হওয়া অফিস। বরং চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই হাঁসফাঁস করা গরমে পুড়তে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা।
গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। কয়েকদিন ধরেই রোদের তেজ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বমুখী ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বেশকিছু জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছাতে শুরু করেছে। বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের মত জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন থেকেই ৩৮ ডিগ্রির বেশি। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তুলনামূলক কম।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আপাতত বৃষ্টির কোনরকম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি কালবৈশাখী নাহলে এমন পরিস্থিতি চলবে আগামী আরও কয়েকদিন। সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এর পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার লু বইতে পারে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া সহ বেশকিছু জেলায়।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও কলকাতার ক্ষেত্রে এখনই সেরকম কোন পূর্বাভাস দেয় নি হাওয়া অফিস। কলকাতার আবহাওয়ার এখন সেরকম কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময় চিকিৎসকেরা সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট খারাপ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।