অতি গভীর নিম্নচাপের কামড়! ৫০ কিমি বেগে ঝড়! সারাদিন দুর্যোগে কাটবে এই ১৪ জেলার

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তর বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়ার নিম্ন চাপের সঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের সংযোগের ফলে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয় মঙ্গলবার। গভীর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসরের ফলে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত থেকেই এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

নিম্নচাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত থাকার শুরু হয়েছে প্রবল দুর্যোগ। মঙ্গলবার রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি। দফায় দফায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে নাজেহাল অবস্থা হতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়। সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যাওয়া নিষেধ করার পাশাপাশি দীঘা, মন্দারমনির মতো সমুদ্র সৈকতগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ স্থলভাগে প্রবেশের পর থেকেই ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার আগমন ঘটে গেলেও যেভাবে দক্ষিণবঙ্গ অস্বস্তির মধ্যে কাটাচ্ছিল তাতে এই নিম্নচাপে বর্ষা নিয়ে ভাগ্য খুলবে তা নিশ্চিত। কেননা হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা গিয়েছে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে জেলার ভিত্তিতে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা গিয়েছে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে যে দুর্যোগ শুরু হয়েছে তা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে কলকাতা সহ রাজ্যের ১৪ জেলায়। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। বুধবার পর্যন্ত এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা যে সকল জেলায় রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়ায়। এই সকল জেলাগুলিতে ঝেঁপে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।