নিজস্ব প্রতিবেদন : আপাতত দিনদুয়েক পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। এমনটাই বার্তা দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্পের আগমণ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানের কারণে এই দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৮ ও ১৯ তারিখ অর্থাৎ আগামী ৪৮ ঘন্টা আবহাওয়ার কোনরকম উন্নতি হবে না। বরং বাড়বে আরও বৃষ্টির পরিমাণ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে।
১৮ জুন : ১৮ জুন দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ। ০৭-২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিনভর লাগাতার ভারী বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই নিয়ে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
১৯ জুন : ১৯ জুন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এর পাশাপাশি এই দিন বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিন দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার উন্নতি কবে হবে?
নিম্নচাপের দরুণ এই বৃষ্টি কবে কাটবে এবং আবহাওয়ার উন্নতি কবে হবে তার সম্পর্কে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে, বৃষ্টি কমবে। ইতিমধ্যেই টানা এই বৃষ্টির কারণে একাধিক জেলার নদ নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় একাধিক অস্থায়ী ফেরিঘাট জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন একাধিক গ্রামগঞ্জের বাসিন্দারা।