নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনার কথা জানানো হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ওই নিম্নচাপের (Depression) সুস্পষ্ট অবস্থান জানা যায়। ওই নিম্নচাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯.৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সেই নিম্নচাপ মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর তা ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পর এই গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশ অথবা বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে অনুমান করা হচ্ছে। গভীর এই নিম্নচাপের বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, এটি বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে ৪৩০ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব রয়েছে।
গভীর এই নিম্নচাপ মঙ্গলবারই খেপুপাড়া দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে। তারপর তা বাংলাদেশের উপর দিয়ে এগিয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার রাতেই প্রবেশ করে যাবে। আর এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভবনার কথা জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। কোন কোন জেলায় এর প্রভাব পড়বে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে প্রথমেই জানানো হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা এবং গভীর নিম্নচাপের ফলে ১ আগস্ট থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে উত্তর বঙ্গোপসাগরের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটবে। বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই তিনটি দিন মৎস্যজীবীদের জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বর্তমান এই পরিস্থিতির ফলে মঙ্গলবার রাত থেকে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার অর্থাৎ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায়। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূমের জন্যও।