নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগর থেকে আগত বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করা একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে মুষলধারে লাগাতার বৃষ্টির সম্মুখীন বীরভূম সহ একাধিক জেলা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টি বাড়ার কারণে ইতিমধ্যেই বীরভূমের বেশ কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি এবং রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার খবর এসেছে।
একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে শুক্রবার দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২ নম্বর ওয়ার্ডের চায়না বিশ্বাস নামে এক বৃদ্ধ মহিলার মাটির বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ওই মহিলা একাই বাড়িতে থাকতেন। ভোরবেলায় ঘটনার সময় তিনি আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বের হন। যে কারণে বাড়ি ভেঙে পড়লেও তার শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়নি। অন্যদিকে গতকাল এই দুবরাজপুর শহরেই আরও একটি মাটির বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। গতকাল যার বাড়ি ভেঙে পড়েছিল তিনি হলেন ভরত বাউরী, তিনি দুবরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদামবাড়ির বাসিন্দা।
একইভাবে এদিন সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের খন্না গ্রামের বাগদী পাড়ায় গনেশ বাগদী নামে এক দিনমজুরের মাটির বাড়ির একাংশ ধসে পড়ে। ওই ব্যক্তি নিরুপায় অবস্থায় ত্রিপল খাটিয়ে ওই বাড়িতেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও ইতিমধ্যেই ওই পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সমস্ত রকম সাহায্যের।
সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মল্লিকপুর থেকে সিউড়ি আসার ভাসা ব্রিজ জলের তলায়। অতিবৃষ্টির কারণে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর বাড়াই এই বিপত্তি তৈরি হয়েছে। ব্রিজ ডুবে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘুরপথে সিউড়ি যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এছাড়াও এখনো পর্যন্ত ইলামবাজারের জয়দেবের অজয় নদের উপর থাকা অস্থায়ী ফেরিঘাট, নলহাটি ২ ব্লকের ব্রাহ্মণী নদীর উপর আকালিপুর দেবগ্রাম কজওয়ে, ময়ূরাক্ষী নদীর উপর জল বাড়াই সাঁইথিয়ার অস্থায়ী ফেরিঘাট, ময়ূরেশ্বরের পীরতলা থেকে সাঁইথিয়ার বোলসুন্দা কলোনির কজওয়ে ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় জেলার অধিকাংশ নদীর জলস্তর বাড়ার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন সাধারণ মানুষেরা।