নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলার পর এখন দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বর্ষার (Monsoon) আগমনে। ২০ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে এমনই জানানো হয়েছিল হাওয়া অফিসের (Weather Office) তরফ থেকে। সেই পূর্বাভাস ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার কিছু অংশে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি অংশে বর্ষার আগমন হবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
বর্ষার আগমন নিয়ে মঙ্গলবার হাওয়া অফিসের অধিকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। বাকি অংশগুলিতে দু-তিন দিনের মধ্যে বর্ষার আগমন হয়ে যাবে। আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির দেখা মিলবে। ২২ এবং ২৩ জুন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর পাশাপাশি হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জৈষ্ঠ্য মাসের তীব্র গরমের পর ধীরে ধীরে এখন তাপমাত্রার পারদ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদ কমবে দুই থেকে চার ডিগ্রি। এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে দেখা যাবে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ছয় জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি জারি থাকবে।
তবে প্রশ্ন হল এই বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের কি স্বস্তি মিলবে নাকি নতুন করে পচা গরমে কষ্ট পেতে হবে? গত শনিবার পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহের পর আবহাওয়ায় আসে বিরাট বদল। শনিবার বিকালের পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্বস্তিতে দিন কাটান দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। তবে মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় হালকা বৃষ্টি হলেও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। সুতরাং ঝেঁপে বৃষ্টি হলে হয়তো পচা গরম থেকে মুক্তি মিলতে পারে, কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ কমলেই অস্বস্তি বাড়বে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।