Here are five ways to avoid being a victim of a deepfake: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর অবনতির দিকগুলো মানুষের জীবনে চরম বিপদ থেকে আনে। মানুষের জীবনের নয়া উদ্যোগের নাম হলো ডিপফেক (Deepfake)। একজনের শরীরে বসিয়ে ফেলা হচ্ছে আরেকজনের মুখ। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে বদলে যাচ্ছে ভিডিও কিংবা ছবি। সেই বদলানো ছবি কিংবা ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা কিংবা অন্য কিছুর জন্য ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে বহু মানুষকে। জানলে আশ্চর্য হবেন এই ডিপফেকের শিকার থেকে বাঁচতে পারেনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ভাট থেকে শুরু করে রশমিকা মন্দনা পর্যন্ত। সব থেকে অবাক করার ঘটনা হলো এই চক্রান্ত থেকে বাদ পড়েনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভাবছেন হয়তো এই চক্রান্তের শিকার শুধুমাত্র জনপ্রিয় সেলিব্রেটিরা কিংবা হেভি ওয়েট নেতারাই হয়ে থাকেন, কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। আমার আপনার মত সাধারন আমজনতা এর শিকার হতে পারে এবং এর ফলে হারিয়ে ফেলতে হবে নিজেদের সর্বস্ব টুকু। কিভাবে বাঁচবেন এই চক্রান্ত থেকে? ডিপফেকের(Deepfake)হাত থেকে বাঁচতে পরামর্শ দিচ্ছেন কিছু বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমেই আমাদের জানতে হবে ডিপফেক(Deepfake)বিষয়টি আসলে কি? এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার পর যেমন নিজে সতর্ক হবেন তেমন আপনার আশেপাশের লোকগুলোকেও এ বিষয়ে সতর্ক করবেন। যাতে কেউ এর ফাঁদে পা দিতে না পারে। এর সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন ফলে আপনি খুব সহজেই এর হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।
অনলাইনে ভিডিও কিংবা ছবি শেয়ার করার সময় সবদিক ভালো করে ভেবে সতর্কভাবে কাজ করবেন। অপ্রয়োজনীয় কোন ছবি কিংবা ভিডিও আপলোড করে বিপদ ডেকে আনবেন না। যদি করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রাইভেসি সেটিং খুঁটিয়ে দেখতে হবে। আপনার ডিভাইসে সর্বদাই দামি এবং জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। এতে আপনার স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। হ্যাকাররা ইউজারের যাবতীয় তথ্য এই ম্যালওয়্যার-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে। তাই আপনাকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার পাসওয়ার্ড যেন খুবই শক্তিশালী হয়। ভিডিও এবং ছবি আপনি চাইলে লক করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ছবি কিংবা ভিডিও সহজে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। নিজের পাসওয়ার্ড বারে বারে পরিবর্তন করতে থাকুন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা ওয়াটারমার্ক আপনার ছবি কিংবা ভিডিওর সুরক্ষাকবজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ডিপফেক (Deepfake)থেকে বাঁচতে বর্তমানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।