ইন্টারনেটের যুগে আমরা অনেক কিছুর সাক্ষী হয়ে থাকি। ভাইরাল হওয়া ভিডিও (Heroic Viral Video) দেখলে সত্যি অবাক হতে হয়। স্কুল বাসের মধ্যে ছিল ৬৬ জন স্কুল ছাত্র। বাড়ি পৌঁছানোর পথে ঘুমিয়ে পড়লেন স্কুলের বাস চালক। সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র মোট ৬৬ জনের প্রাণ বাঁচালো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ছাত্রটি একেবারে চালকের কেবিনে ঢুকে স্টিয়ারিং ধরে, ব্রেক কষে বাসটি নিরাপদে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাল। ছাত্রটির তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল ৬৬ জন পড়ুয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহর এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলো চলতি সপ্তাহে।
যে বাচ্চাটি রক্ষাকর্তা হিসাবে এগিয়ে এসেছিল, তার নাম হলো ডিলন রিভিস। ডিলনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। যখন বাসচালক অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল ডিলন পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য চালকের কেবিনে ঢুকে স্টিয়ারিং ধরে, ব্রেক কষে বাসটিকে রাস্তার ধারে নিয়ে এসে দাঁড় করায়। গত বুধবার মিশিগান শহরের বুনার্ট রোডের কাছে এই দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটেছে। গোটা ঘটনাটির ভিডিও (Heroic Viral Video) প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিওটিতে (Heroic Viral Video) দেখা যাচ্ছে যে, গত বুধবার স্কুল থেকে ৬৬ জন পড়ুয়াকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয় স্কুলবাসটি। বাসচালক সিটবেল্ট বেঁধে স্টিয়ারিং ঘোরাতে-ঘোরাতেই একেবারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ডিলন ঘটনাটি দেখতে পেয়েই চালকের কেবিনে ঢুকে আসে এবং তাড়াতাড়ি স্টিয়ারিং ধরে, ব্রেক কষে বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করায়।
ডিলনের চেষ্টায় শেষমেশ বাসটি রাস্তার পাশে দাড়ায়। তারপর গোটা ঘটনাটি সকলে নজরে আসে। সেই মুহূর্তে আতঙ্কে চিৎকার করা শুরু করে ওই বাসের অন্যান্য ছাত্রেরা। তাদের এই ভয়াবহ আর্ত-চিৎকার শুনে কেউ ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। সেই মুহূর্তে পুলিশ ও দমকল বাহিনী ওই ঘটনাস্থলে যায়। তারা বাসের ভিতর থেকে ছাত্রদের উদ্ধার করে নিরাপদে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
School bus driver, driving 66 children in Michigan, has medical emergency and becomes incapacitated. 13-year-old Dillon Reeves jumps to the rescue and brings the bus to a halt. (Video: WXYZ) pic.twitter.com/0WqsMHwJze
— Mike Sington (@MikeSington) April 28, 2023
শেষ পর্যন্ত ডিলন রিভিসের চেষ্টাতেই যে ৬৬ জনের প্রাণ বেঁচেছে, তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। গোটা স্কুল এর কাছে এখন হিরো ডিলন। এখন বাস চালাতে-চালাতে চালক কী ভাবে অচৈতন্য হয়ে পড়লেন, সেটাই এখন তদন্তের বিষয়। তবে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।