জয়া, বিজয়া, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরে শতাব্দী প্রাচীন হেতমপুরের চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মী পূজো

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : বীরভূমে রয়েছে বেশ কয়েকটি শতাব্দী প্রাচীন লক্ষ্মী পুজোর ঐতিহ্যমন্ডিত কাহিনী, যাদের মধ্যে আরও একটি অন্যতম লক্ষ্মী পুজো হলো হেতমপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের লক্ষ্মীপুজো। চার পুরুষ ধরে হেতমপুরে চলে আসছে স্বমহিমায়।

Advertisements

শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর সূচনা করেন হেতমপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কৃষ্ণ চরন চট্টোপাধ্যায়। সেসময় এলাকার সাধারণ মানুষদের বাড়িতে লক্ষ্মী পূজার প্রচলন ছিলনা। লক্ষ্মীপূজো বলতে যা ছিল তা রাজ পরিবারের মধ্যেই। পুজোর সূচনার পর নিত্যগোপাল চট্টোপাধ্যায় পাকাপাকি ভাবে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে এই লক্ষ্মীপুজো করেন। তারপর থেকেই মহাসমারোহে চার পুরুষ ধরে এই পুজো চলে আসছে।

Advertisements

চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, এই পূজাকে কেন্দ্র করে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কম করে ১০০ জন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে উপস্থিত হন। দুর্গাপুজোর বিজয়ার পর এই পুজো চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কাছে মিলন উৎসব।

Advertisements

শুধু চট্টোপাধ্যায় পরিবার নয়, এই পুজোতে শামিল হয় এলাকার বাসিন্দারাও, তাদের কাছ থেকেও সমান ভাবে সহযোগিতা পেয়ে থাকে এই পরিবারের পুজো। হেতমপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পুজোর আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পুজো এখানে একদিনের নয়, তিন দিনের।

এই পরিবারের মা লক্ষ্মী প্রতিমার সারা দেহ স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত থাকে। পাশাপাশি মা লক্ষী ছাড়াও থাকেন জয়া, বিজয়া, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। পূর্বপুরুষদের রীতি মেনে মহাধুমধামে কাহারদের দিয়ে এই প্রতিমা বিসর্জন করার রীতি রয়েছে এই পুজোয়।

Advertisements