আবরণ ছাড়া আর অন্ধকারেই হেতমপুরের দক্ষিণা কালি মায়ের বাস

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

লাল্টু : বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রামে শ্রী দক্ষিণা কালীর অষ্টমঙ্গলা পুজো ঘিরে সাধারণ মানুষদের মধ্যে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। রীতি মেনে দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে এখানে কালীপূজা হয়, কিন্তু অষ্টমঙ্গলা তার থেকেও বেশি ধুমধাম।

Advertisements

অষ্টমঙ্গলা ঘিরে এদিন মন্দির চত্বরে মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। যে মহোৎসবে আনুমানিক ২০০০০ মানুষ প্রসাদ খেয়ে যান। খিচুড়ি, একটি তরকারী এবং পাঁচমেশালী টক থাকে প্রসাদের ভোগ হিসাবে। যা তৃপ্তি ভাবে গ্রহণ করেন ভক্তরা।

Advertisements

কথিত আছে, আনুমানিক আড়াইশো বছর আগে কোন এক সিদ্ধপুরুষ এখানে সাধনা করতেন। তারপরে হেতমপুরের মহারানী পদ্মাসুন্দরী স্বপ্নাদেশ পান এখানে মা দক্ষিণা কালীর অবস্থানের বিষয়ে। তারপর তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে এখানে আসেন এবং মায়ের পুজো করেন। হেতমপুরের মহারানী পদ্মাসুন্দরী চেয়েছিলেন এখানে মায়ের একটি মন্দিরও তৈরি করে দিতে। কিন্তু পরে আবার তিনি স্বপ্নাদেশ পান মা কোনরকম আবরণ বা মন্দিরের মধ্যে থাকতে নারাজ। তারপর থেকে এখানে এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি মন্দির।

Advertisements

এমনকি এও কথিত আছে, এখানকার মা অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করেন। সেমত মায়ের কাছে কোনরকম আলোর ব্যবস্থা রাতে থাকে না। শতাধিক বছর ধরে তিনি রাতের অন্ধকারেই বিরাজ করেন।

তবে এই মহোৎসব গত ১৬ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে। মহোৎসব কে ঘিরে গ্রামের পাশাপাশি আশেপাশের গ্রাম থেকে অজস্র মানুষের সমাগম ঘটে। এছাড়াও অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে এই ধর্মীয় স্থান।

Advertisements