Hibernation is the reason why snakes are not seen in winter: সাপেদের বাস হলো সাধারণত ভাঙ্গা বাড়ি, ঝোপঝাড়ে কিংবা গর্তে। বিভিন্ন সময়ে তাদের চোখে পড়লেও শীতকালে একেবারেই সাপের সন্ধান পাওয়া যায়না। এমনি সময় খাবারের সন্ধানে তারা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়, এমনকি কখনো কখনো ঢুকে পড়ে গৃহস্থের বাড়িতেও। তখনই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় সবার বাড়িতে। বেশিরভাগ সাপের কিন্তু বিষ থাকেনা তবে কিছু কিছু সাপের বিষে মারাত্মক ক্ষতি করে মানুষের। বর্ষাকালে এবং গ্রীষ্মকালে এদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু শীতকালে কোথায় লুকিয়ে থাকে (Hibernation)তারা জানেন কি?
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ‘সাপ বন্ধু’ নামে জনপ্রিয় মুরারি সিং কি বলেছেন এই প্রসঙ্গে? সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেই কিন্তু সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। আবার ঘন বনের আশপাশে প্রায় সময় এদের দেখা যায়। খাবারের খোঁজে অনেকসময় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাতেও চলে আসে। কিন্তু শীতকালে এরা সবাই চলে যায় শীতঘুমে (Hibernation)। খাবারের সন্ধান করা ছেড়ে দেয় এমনকি শিকার করাও বন্ধ করে দেয় একেবারেই। শীতকালটা নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বেশি পছন্দ করে।
এর পেছনের আসল রহস্য আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন। প্রথমেই জেনে নিতে হবে শীতঘুম (Hibernation) আসলে কি? আসলে সাপের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সামান্য ভূমিকা পালন করে, নিজেদের শরীরকে উষ্ণ রাখতে বাহ্যিক পরিবেশের উপর তারা অনেকটাই নির্ভরশীল। তবে শীতকালে সাপ বেঁচে থাকার জন্য ভিন্ন একটি কৌশল নেয়। সেই কৌশলকেই বলে হাইবারনেশন বা শীতঘুম।
আরও পড়ুন ? দিঘায় ছড়ালো ইয়েলো বেলি সাপের আতঙ্ক! কী করবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞরা
টানা তিন থেকে চার মাস হাইবারনেশনে (Hibernation) থাকে সাপ সেই সময় লুকানোর জন্য নিরাপদ স্থান বেছে নেয়। বছরের বাকি সময় শিকার ধরে তারা যে ক্যালোরি সঞ্চয় করে সেটাই কিন্তু তাকে শক্তি যোগায়। তাছাড়া এই সময় সাপের শরীরে জমে থাকা চর্বিও কমে যায়। শীতঘুম কাটানোর পর সাপের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শীতঘুম মানে কিন্তু ঘুম নয় আবার জেগে থাকবে সেটাও বলা যায়না। এটা আধো ঘুম, আধো জাগরণ অবস্থা। সাপের বিপাকীয় হার এইসময় অনেকটাই ধীর হয়ে যায়।
হাইবারনেশনের সময় ডিহাইড্রেশন এড়ানোর জন্য সাপ মাঝে মাঝে সূর্যের আলো নিতে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। আবার মরার মত পড়েও থাকে। সাপ কেন সূর্যের তাপ নেয় জানেন আসল কারণ? শীতকালে সাপ সূর্য থেকে তাপ নেওয়ার জন্য গর্ত থেকে বেরোয়। সূর্যের আলোয় থাকা ইক্টোথার্মিক প্রাণীদের বাহ্যিক তাপের একমাত্র উৎস। ইক্টোথার্মিক প্রাণীরা থার্মোরেগুলেশন করতে অক্ষম। সেইজন্যই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের করতে বাহ্যিক উৎস অবশ্যই প্রয়োজন।