নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে সকল দাবি দাওয়া থাকে তা কেবল বেতন নয়। বেতন ছাড়াও সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়েই নিজেদের কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। তবে সেই সকল দাবি দাওয়া পূরণের ক্ষেত্রে অনেক সময় তাদের আদালত সহ বিভিন্ন জায়গায় হোঁচট খেতে হয়। ঠিক সেই রকমই এবার আদালতের এক রায়ে সরকারি কর্মচারীদের মাথা বন বন করে ঘুরছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ন্যায্য ডিএ দেওয়া হয় না, এমন অভিযোগ বারবার তুলতে দেখা গিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের বড় অংশকে। ন্যায্য মহার্ঘ ভাতার দাবীতে সরকারি কর্মচারীদের সংযুক্ত মোর্চা সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন সময় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে সেই বারবার দ্বারস্থ হলেও তার এখনো সুরাহা হয়নি।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে থাকেন। সেই সকল মামলার ক্ষেত্রে অনেক সময় আদালতের রায় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে যায়, আবার অনেক সময় রায় সরকারের পক্ষে যাওয়ার কারণে সরকারি কর্মচারীদের মাথায় বাজ পড়ে। এবারের ঘটনাও ঠিক সেই রকমই।
আদালতে তরফ থেকে এমন রায় দেওয়া হয়েছে মূলত মৃত সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কোনো সদস্যকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে। আমরা প্রত্যেকেই জানি, কর্মরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে সহানুভূতির খাতিরে ওই সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কোন একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়। অন্ততপক্ষে এমনটা হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু এবার আদালত যা জানিয়েছে তাতে এই ধরনের চাকরির কোন নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি নেই। অর্থাৎ চাকরি দিতেই হবে এমন কোন বিষয় নেই।
এই ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে এবার হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চাকরি তখনই দেওয়া যেতে পারে যখন ওই সরকারি কর্মচারীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল না হয়। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার সময় আর্থিক পরিস্থিতি যাচাই করার কথা বলা হয়েছে। আদালত এমন রায় দিয়েছে মূলত জম্মু-কাশ্মীর স্টেট হ্যান্ডলুম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। তারা চাকরি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ শেখরি পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে মামলা খারিজ করে দেন। জানা গিয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে মহম্মদ আশরাফ মীরের বাবা ২০০৭ সালে এবং ইসফাক আহমেদ ভাটের বাবা ২০০২ সালে ওই সংস্থায় কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।