Teachers Educational Qualification: আর চলবে না কোনো চুকলিবাজি, এবার রাজ্যের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ঘুম উড়ানো নির্দেশ দিল আদালত

Antara Nag

Published on:

Advertisements

The High Court ordered to publish the Educational Qualification of all the teachers: শিক্ষক নিয়োগে আর কোন জালিয়াতি নয়। স্বচ্ছ পরিকাঠামো গড়তে উদ্যোগী কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র শিক্ষক মহলে। বেশ কিছুদিন যাবত শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে চলেছে বিরোধীপক্ষ ও ছাত্রসমাজ। প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু দুর্নীতির ঘটনাও। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা (Teachers Educational Qualification) প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তরকে। গোটা রাজ্যজুড়ে যত জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন প্রত্যেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ করতে হবে। এই কাজের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ সপ্তাহ।

Advertisements

এই নির্দেশনা জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার মতে, যে সমস্ত শিক্ষকরা শিক্ষকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা সে বিষয়ে জানার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। ছাত্র, সহশিক্ষক, এবং অভিভাবক সকলেরই স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন এই বিষয়ে। প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের যোগ্যতার (Teachers Educational Qualification) উপর প্রশ্ন তুলছে অভিভাবক, ছাত্র সমাজ এমনকি সরকার বিরোধীপক্ষরাও। সেই পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই এই নতুন নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এতে উপকৃত হবে শিক্ষকরাও। প্রকৃতপক্ষে যোগ্য শিক্ষকদের উপর আঙুল তোলার আগে, তাকে হেনস্থা করার আগে ভাবতে হবে সাধারণ মানুষকে।

Advertisements

শিক্ষকদের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করার উদ্দেশ্যে রাজ্যে কর্মরত সকল শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা (Teachers Educational Qualification) শিক্ষা দপ্তরের অফিসিয়াল পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই কাজের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২ সপ্তাহ। রাজ্যের প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষক এই মুহূর্তে কর্মরত। তাদের প্রত্যেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ২ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের অফিসিয়াল পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কিন্তু মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে সারা রাজ্যব্যাপী শিক্ষকদের যোগ্যতা তুলে ধরা প্রায় অসম্ভব। এই কাজের জন্য অন্তত ২ মাস সময় চেয়েছে শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যে নদিয়া, হুগলি, ও বিরভূম এই ৩ জেলার শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আপলোড করা সম্ভব হয়েছে ওয়েবসাইটে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Sunday School in Birbhum: গরমের ছুটি অতীত! এবার রেহাই নেয় পড়ুয়াদের, রবিবারেও স্কুল

কলকাতা হাইকোর্টের মতে বেশ কিছু শিক্ষক রয়েছেন যারা ৪-৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন কোনরকম কনফার্মেশন ছাড়াই। এত ধীরগতিতে কাজ করলে কোন ভাবেই চলবে না। কোনরকম সময় নষ্ট না করে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত তথ্য আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এছাড়াও ভোট চলাকালীন সময় থেকে স্কুল গুলিতে বেশ কিছু অনিয়ম হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে স্কুলে। ফলে সেই সমস্ত স্কুলের পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে-মিলের যোগানও বন্ধ রয়েছে প্রায় ৩-৪ মাস। এই সবকিছু নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি। প্রতি বছর ভোট হয় এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আসা হয় রাজ্যে। তাহলে তাদের জন্য আলাদা বিল্ডিং এর ব্যবস্থা না করে কেন এখনো স্কুলগুলিকেই সমস্যায় ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

কিছুদিন আগে বেআইনিভাবে কোনরকম পরীক্ষা না দিয়ে চাকরিতে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অনিমেষ তেওয়ারি নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মামলার সময় বলা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের গোখা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিষ তেওয়ারি নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলেকে শিক্ষক হিসেবে স্কুলে নিযুক্ত করেছেন। এই মামলায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডির উপর। সিআইডি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পেরেছে, গোটা রাজ্যে এরকম আরো ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন যারা পাশ করা তো দূর পরীক্ষাতে না বসেই চাকরি পেয়ে গেছেন। অনিমেষ তেওয়ারির মামলার রায় বেরিয়েছে। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরকম আরো কোনো শিক্ষক আছেন কিনা তা জানার জন্যই সমস্ত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা (Teachers Educational Qualification) পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষকতা সংক্রান্ত জালিয়াতি রুখতে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলে মনে করছে বিশিষ্টজনেরা।

Advertisements