নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট (Internet) ছাড়া এক মুহূর্ত চলা দায় হয়ে প্রতিটি মানুষের। পদে পদে বিভিন্ন কাজের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। এমনকি করোনাকালে আমরা দেখেছিলাম, যখন স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল তখন এই ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর ভর করেই পড়াশোনা চলতো। এসবের মধ্যেই এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্কুলে স্কুলে হাই স্পিড ইন্টারনেট (School internet service) বসানোর।
তবে করোনাকাল পেরিয়ে গেলেও স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন পুরোপুরিভাবেই বিভিন্ন কাজের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নির্ভর করে চলে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে গ্রামগঞ্জের বহু স্কুল রয়েছে যেগুলিতে হাই স্পিড ইন্টারনেট না থাকার কারণে ইন্টারনেট চলে না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
এমন সব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সব স্কুলে যাতে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় তার জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত স্কুলে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা বসবে খুব তাড়াতাড়ি। হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা বসানোর কাজ করবে রাজ্য সরকার অধীনস্থ সংস্থা ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড। এমনকি কতদিনের মধ্যে এই পরিষেবা চালু করতে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Goats wear school uniform: স্কুল ইউনিফর্মে মাঠে ঘাস খাচ্ছে ছাগল! কোথায় ঘটল এমন ঘটনা
বর্তমান সময়ে স্কুলের বিভিন্ন কাজকর্ম নির্ভরশীল বাংলার শিক্ষা পোর্টালের উপর। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুসারে এই পোর্টালে পড়ুয়াদের নম্বর থেকে বিভিন্ন তথ্য আপলোড করতে হয়। কিন্তু রাজ্যের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেসব জায়গায় এত ধীর গতিতে ইন্টারনেট চলে যে কাজ করার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই সকল নানান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্যের সমস্ত স্কুলে হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে ওয়েবেল সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে ইন্টারনেট কানেকশন লাগানোর কাজ শেষ করতে হবে। এই সকল ইন্টারনেট কানেকশন ৩৯ মাসের জন্য থাকবে। স্কুলের কাজকর্মের সুবিধার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।