বিশ্বভারতী থেকে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশকে নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়া ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রুপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য দরখাস্ত করার প্রতিবাদে গত সপ্তাহের শুক্রবার রাত থেকে বিশ্বভারতীতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ঘেরাও কর্মসূচি। এরপর থেকেই চলছে উপাচার্যকে ঘেরাও কর্মসূচি।

Advertisements

Advertisements

লাগাতার এই বিক্ষোভের কারণে বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে ফলাফল প্রকাশ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনায় মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আর সেই মামলার শুনানি শেষে শুক্রবার মহামান্য হাইকোর্ট রায় দেয়। আদালতের তরফ থেকে শুক্রবার এই অচলাবস্থা কাটাতে শান্তিনিকেতন থানাকে নির্দেশ দিল, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর। এদিন বিশ্বভারতীর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একাধিক নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisements

আদালতে তরফ থেকে যেসকল নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোন কোন দিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মসূচি সাধারণভাবে চলে। ক্যাম্পাসের ভিতর কোন রকম মাইক ব্যবহার করা যাবে না। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তার জন্য বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়াও রাজ্য পুলিশের তিনজন কনস্টেবল নিয়োগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংলগ্ন এলাকায় যে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সব সক্রিয় রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে সমস্ত রকম ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনরকম বিক্ষোভ মিছিল করা যাবে না

যদিও হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, আপাতত আমাদের হাতে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম রায়ের কপি আসেনি। তবে মহামান্য আদালত নির্দেশ দেবেন তা আমরা মেনে চলবো। পরবর্তীতে আমরা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাবো।

Advertisements