নিজস্ব প্রতিবেদন : জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে ইলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নামিদামি মাছের পদ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন শ্বশুর শ্বাশুড়িরা। তবে এই বছর এখনো পর্যন্ত ব্যান পিরিয়ড না ওঠার কারণে ইলিশ (Hilsa Fish) নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল চরম চিন্তা। তবে সেই চিন্তা দূর হয়ে গেল ঠিক জামাইষষ্ঠীর আগের দিন। কেননা মঙ্গলবার থেকেই বাজারে কেজি কেজি ইলিশের দেখা মিলল।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা মোহনায় যে মৎস্যবাজার রয়েছে সেখানে কেজি কেজি ইলিশ আমদানি হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। সেখান থেকেই ইলিশ এখন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন ওজনের ইলিশ এখন মৎস্য ব্যবসায়ীদের হাতে। কোনোটির ওজন এক কিলো, তো কোনোটির আবার দেড় কিলো, আবার কোনটির ওজন দু’কিলো থেকে আড়াই কিলো।
সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে যেহেতু এখনো ব্যান পিরিয়ড ওঠেনি তাই হয়তো শ্বশুর-শ্বাশুড়ির জামাইদের পাতে তাজা ইলিশের পেটি দিতে পারবেন না, তবে স্টক ইলিশের পেটি অনায়াসেই দিতে পারবেন। আবার এই স্টক ইলিশের মধ্যে অনেক ইলিশ রয়েছে যেগুলি পদ্মার। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে, ইলিশ স্টক হলেও স্বাদের ক্ষেত্রে তাজা ইলিশের সঙ্গে কোনো রকম কম্প্রোমাইজ হবে না।
আরও পড়ুন ? Park Near Kolkata: কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব! ২০-৩০ টাকায় জমিয়ে প্রেম হতে পারে এই পার্কে
জামাইষষ্ঠীতে এমনিতেই সমস্ত জিনিসের দাম অনেক চড়া থাকে। যে কারণে জামাইকে ভালো-মন্দ খাওয়াতে গিয়ে শ্বশুর শ্বাশুড়ির পকেট থেকে অনেকটাই খসে যায়। তবে এই বছর দিঘার মোহনার মৎস্যবাজার ঘুরে যা দেখা গেল তাতে দাম যে খুব চড়েছে তাও নয়। সাধারণ সময়ে যেমন দাম থাকে তার থেকে হয়তো কেজিতে সামান্য কিছু টাকা করে বেশি খসবে ইলিশের জন্য। কিন্তু অন্যান্য বছর এর দাম আরো অনেক বেশি থাকে বলেও জানা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের সূত্রে।
মঙ্গলবার দিঘার মোহনার মৎস্য বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের থেকে ইলিশের দাম নিয়ে যা জানা দিয়েছে তাতে ওজনের ওপর নির্ভর করছে দাম। যদি কোন ইলিশের ওজন এক কিলো হয় তাহলে তার জন্য দাম দিতে হবে এক হাজার টাকা। যদি ওজন দেড় কিলো হয় তাহলে দাম দিতে হবে দেড় হাজার টাকা আর দু’কিলো ওজন হলে দাম দিতে হবে ২০০০ টাকা। তবে যেহেতু ব্যান পিরিয়ড এখনো শেষ হয়নি তাই মাছের আমদানি অনেকটাই কম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা আর মাছের আমদানি কম থাকার কারণে সাধারণ সময়ের থেকে দাম কিছুটা হলেও চড়া।