বদলে যাবে সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের ছুটির নিয়ম! নতুন নিয়মে মিলবে অনেক বাড়তি সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কর্মচারীদের কাজের নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন সময় ছুটি পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে এই সকল ছুটি দেওয়া হয়। আবার অসুস্থতা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও ছুটি পেয়ে থাকেন তারা। তবে ছুটির সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় মহিলা সরকারি কর্মচারীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর এবার ছুটির ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকারা।

সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের ছুটির নিয়মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে বদল আনা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। নতুন যে নিয়ম আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে সেই নিয়ম অনুযায়ী অনেক বেশি সুবিধা পাবেন শিক্ষিকারা। এই নতুন নিয়মের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা যাচ্ছে এবং সব পক্ষের সম্মতি মিলে খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

জানা যাচ্ছে, এতদিন পর্যন্ত সন্তানের বোর্ড পরীক্ষার জন্য কোন ছুটি পেতেন না স্কুলের শিক্ষিকারা। এর ফলে পরিবারের অন্য কোন সদস্যের হাতেই সন্তানকে তুলে দিয়ে স্কুলে ছুটতে হতো শিক্ষিকাদের। এদিকে বোর্ড পরীক্ষায় মাকে পাশে না পেয়েই পরীক্ষা দিতে যেতে হয় স্কুল শিক্ষিকাদের সন্তানদের। এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার এই নিয়মে শিথিলতা আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে নবান্নের তরফ থেকে।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, নতুন নিয়ম কার্যকর হলেই সরকারি স্কুলের শিক্ষিকারা তাদের সন্তানদের বোর্ড পরীক্ষার সময় ছুটির আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষা চলাকালীন কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা ছুটি নিতে পারবেন না এমন যে নিয়ম এতদিন ছিল সেই নিয়মে শিথিলতা আনা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে কোন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার সন্তান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলে তিনি ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতদিন স্কুলের শিক্ষিকাদের জন্য সন্তান অসুস্থ হলেই ছুটির আবেদন করার নিয়ম ছিল।

নতুন এই নিয়ম চালু হলে সন্তানরা এবং সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা, উভয় পক্ষের জন্যই মঙ্গল হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কেননা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এমন পর্যায়গুলিতে সন্তানের পাশে থাকা উভয় পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আবার ওয়াকিবহাল মহলের অন্য এক অংশ দাবি করছেন, এই নিয়ম কেন কেবলমাত্র শিক্ষিকাদের জন্যই করা হবে। শিক্ষকদের জন্যও এমন নিয়ম চালু হওয়া দরকার।