Hollong Bungalow: পর্যটকদের কাছে জঙ্গল হল এক অন্যরকম আকর্ষণ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে সবুজ রঙের এই বাংলো বরাবর ছিল পর্যটকদের অন্যতম তীর্থস্থান। কিন্তু এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় হলং বাংলো। ঘটনাটি ঘটে জুন মাসের ১৮ তারিখে। ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে বাংলোটিকে পুনর্নির্মাণ করার দাবি উঠেছিল। অবশেষে পূরণ হলো পর্যটকদের ইচ্ছা। পুজোর পরেই খুলে যেতে পারে পর্যটকদের জন্য এই হলং বাংলো। বন দফতর আপাতত এটি সংস্কারের কাজে ব্যস্ত। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বুধবার বিধানসভায় জানান, হলং বাংলোর স্থাপত্যশৈলী অটুট থাকবে।
জলদাপাড়ার এই ঐতিহ্যশালী বাংলো গত ১৮ জুন ভয়ঙ্কর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আসলে এখানে আসলে আপনি দেখতে পারবেন বাংলার ঐতিহ্যের ছাপ, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কাঠের তৈরি আসবাব। এই বাংলোর সঙ্গে জুড়ে আছে পর্যটকদের আবেগ এবং ভালোবাসা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে হলং বাংলো তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকে। যেটুকু সময় বন্ধ থাকতো সেইসময় এসি, গিজার, আলো ইত্যাদির কাজ চলত। বিদ্যুৎ সংযোগ অবশ্য ছিল। গত ১৮ জুন রাতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায় এই বাংলো। বাংলোতে কিভাবে আগুন লেগেছিল এটি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘এসি থেকে নয়, বরং শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে হলং বাংলোয়। রিপোর্ট থেকে পাওয়া গেছে সেই তথ্য।
এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে অবশ্য অভিযোগ উঠেছিল ষড়যন্ত্রের তবে তা খারিজ করে দেয় বন দফতর। বন দফতর পরিকল্পনা করে যে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের সাথে বাংলোটিকে (Hollong Bungalow) নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে হবে। পর্যটকরা পুজোর পরেই ঘুরতে আসতে পারবেন এই হলং বাংলোতে। এতদিন হলং বাংলোর বুকিং থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব ছিল পর্যটন দফতরের উপর। এখন থেকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বন দফতরকে।
অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের ‘স্টেট ট্রি’ হলং। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ডিপটেরোকার্পাস রেটাসাস। গাছটি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ কারণ মোরান উপজাতিদের বিশ্বাস, এই গাছ অত্যন্ত পবিত্র। হলং গাছের কাঠ দিয়েই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বন-বাংলোটি (Hollong Bungalow) নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কারণেই এই নামকরণ।
অগ্নিকাণ্ডের পর যখন বাংলোটি সংস্কার করা হয় তখন অবশ্য ব্যবহার করা হয়েছে শিশু-সেগুন কাঠ। হলং নদীর তীরে ১৯৬৭ সালে এই বাংলোটি তৈরি হয়। বাংলোটির নামকরণ নিয়ে অবশ্য কিছু কিছু দ্বিমত আছে। অনেকেই বলেন হলং নদী থেকে বাংলোটির নামকরণ করা হয়েছে।