নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই করোনা হানা থেকে দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রক্ষা পাচ্ছেন না তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরাও। রবিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাতে হয় উত্তরপ্রদেশের কারিগরী শিক্ষা মন্ত্রী কমলারানী বরুণকে। তার মৃত্যুর পরই দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। এই প্রথম দেশের কোন মন্ত্রীকে করোনাই নিজের প্রাণ দিতে হলো। আর এরপরে আবার বিকাল হতেই আরও একটি দুঃসংবাদ এসে পৌঁছায় দেশবাসীদের সামনে। জানা যায় এবার করোনা আক্রান্ত খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রবিবার বিকাল বেলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই টুইট করে জানান তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা। তিনি লেখেন, “করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখার পর আমি টেস্ট করাই। যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আমার শরীর এখন ঠিক আছে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য। আপনাদের সকলকে অনুরোধ, যারা গত কয়েক দিনে আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন তারা যেন দয়া করে নিজেদের আইসোলেশনে রেখে পরীক্ষা করান।”
कोरोना के शुरूआती लक्षण दिखने पर मैंने टेस्ट करवाया और रिपोर्ट पॉजिटिव आई है। मेरी तबीयत ठीक है परन्तु डॉक्टर्स की सलाह पर अस्पताल में भर्ती हो रहा हूँ। मेरा अनुरोध है कि आप में से जो भी लोग गत कुछ दिनों में मेरे संपर्क में आयें हैं, कृपया स्वयं को आइसोलेट कर अपनी जाँच करवाएं।
— Amit Shah (@AmitShah) August 2, 2020
দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দিল্লীকে করোনামুক্ত করতে গিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর রবিবার নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তার এই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই আরোগ্য কামনা করতে শুরু করেছেন। যদিও অমিত শাহ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন, কেবলমাত্র চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
একদিকে আগামী ৫ই আগস্ট রয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপনের দিন। আর তার আগেই উত্তর প্রদেশের কারিগরী শিক্ষা মন্ত্রী কমলারানী বরুণের করোনাই মৃত্যুর ঘটনা রীতিমত রামমন্দির ট্রাস্টকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ মন্ত্রীর মৃত্যুর পর ৫ই আগস্ট অযোধ্যায় থাকতে পারবেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলে আগেই জানা যায়। এরপর আবার অমিত শাহ! আর এই ঘটনায় কেন্দ্র সরকারের প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা।