অমরনাথ দত্ত : বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে নামছে এবার ভারতীয় জনতা পার্টি। বাঙালির আবেগের সবচেয়ে বড় জায়গা রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত তাঁর বিশ্বভারতী। এবার তাকে মূলধন করেই বোলপুর শান্তিকেতনে পথসভা করবেন অমিত শাহজী। বিশ্বভারতীতে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদি।
পদাধিকারবলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই কেন্দ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কিন্তু তাঁর এই ভার্চুয়াল বক্তব্য ও অমিত শাহর পথসভা যে সামনের ২১ ভোটের এক প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি তা রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপির তরুণ তুর্কি অনুপম হাজরা।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অনুপম হাজরা, বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল, জেলার অবজারভার ও অনান্য জেলা নেতৃত্বরা। অনুপম হাজরা এদিন জানান, “যিনি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী তিনি বিশ্বভারতীর আচার্য। উনি চান বিশ্বভারতীর যে গরিমা নষ্ট হয়েছে বিগত দিনে, সেই হিতগরিমা ফিরিয়ে আনার জন্য আচার্য হিসাবে একেবারে অরাজনৈতিকভাবে অ্যাড্রেস করতে চান ভার্চুয়ালি।”
তিনি আরও জানান, “পশ্চিমবঙ্গে চারিদিকে অন্যায়-অবিচার চলছে। প্রতিদিন তাঁরা এক একজন সদস্যকে হারাচ্ছেন গৃহসম্পর্ক অভিযান করতে গিয়ে ও বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। বুথ স্তরের কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য অমিত শাহজী রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ভিজিট করবেন। তার মধ্যে বীরভূম অন্যতম।”
তৃণমূলের দিকে ইঙ্গিত করে তীর্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে অনুপম হাজরা বলেন,”যেখানে পিঁপড়ে বেশি হয় ব্লিচিং পাউডার সেখানেই আমরা ছড়ায়। বীরভূম সেরকম একটা জায়গা যেখানে ব্লিচিং পাওডার ছড়ানোর দরকার আছে। কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর দরকার আছে। বোলপুরে সংগঠন প্রদর্শন করার দরকার আছে। সেই জন্য বোলপুরে একটা পদযাত্রা করবো অমিত শাহজীকে নিয়ে। পদযাত্রা যেখানে শেষ হবে সেখানে আমাদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহজী বক্তব্য রাখবেন। সেইজন্য রবিবার আলোচনার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, আগামী ২০ ডিসেম্বর বোলপুরে আসছেন অমিত শাহ।
বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অমিত শাহর সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভবনা আছে বলেও তিনি জানান। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন অনুপম হাজরা।
সাংবাদিকরা বিজেপির এমপি সুব্রহ্মণ্যমনিয়াম স্বামীর জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন বাতিল করা বক্ত্যব নিয়ে প্রশ্ন করলে অনুপম হাজরা জানান, “এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত। আমাদের দলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজী বা অমিত শাহজী বা নাড্ডাজী যেটা বলবেন সেটাই গুরুত্ব দিন। উনি ব্যক্তিগতভাবে কি বলছেন সেটা নিয়ে মন্তব্য করবো না।”