নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আগামী ১৫ই জুলাই পর্যন্ত। তবে এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বিপুল পরিমাণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পয়লা জুলাই থেকে গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও বিধি-নিষেধ মেনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমত অবস্থায় গণপরিবহণের অন্যতম মেরুদন্ড বাস পরিষেবা কতটা সচল হলো তাই দেখে নেওয়া যাক।
৫০% যাত্রী এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও অধিকাংশ জেলাতেই বেসরকারি বাসের চাকা ঘুরলো না জুলাই মাসের প্রথম দিনে। সেক্ষেত্রে বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, যেভাবে ডিজেল এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে তাতে বর্তমান ভাড়া অনুযায়ী বাস চালানো সম্ভব নয়। ভাড়া বৃদ্ধি না হলে কোনভাবেই বাস রাস্তায় নামানো যাবে না।
যদিও বীরভূমের বাস মালিক সংগঠনের সদস্যরা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক চালাচ্ছেন কিভাবে বাস পরিষেবা সচল করা যায় তা নিয়ে। বীরভূমের বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের দাবি, ভাড়া বৃদ্ধি করা হোক অথবা সরকারি কোন রকম সাহায্য দেওয়া হোক যাতে বাস পরিষেবা সচল করা যায়। অন্যদিকে বাস পরিষেবা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রথম দিন বেসরকারি বাস না চলায় রাস্তায় বের হওয়া বেশ কয়েক জন যাত্রীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাদের দাবি, বেসরকারি বাস ঘনঘন চলে। ভাড়াও অনেক কম। কিন্তু এই বাস চলাচল শুরু না হওয়ায় আমরা অসুবিধার সম্মুখিন।
অন্যদিকে বেসরকারি বাসের চাকা না গড়ালেও হাতেগোনা কয়েকটি সরকারি বাস সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছে। তবে সরকারি বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা একেবারেই ছিল না বললেই চলে। জানা গিয়েছে এদিন মোট আটটি বাস সকাল থেকে রওনা দিয়েছে। যে বাসগুলি সিউড়ি সরকারি বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা দিয়েছে কলকাতা, বালুরঘাট এবং শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে।
তবে সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস না চলায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আগামীদিনে কিভাবে তারা যাতায়াত করবেন। কারণ বাস্তব এটাই যে শুধু সরকারি বাসের উপর নির্ভর করে পরিবহন ব্যবস্থা সুগম হতে পারে না।