Israel-Iran Conflict: বন্ধুত্ব অতীত হয় এক মুহূর্তে! কীভাবে শত্রু দেশে পরিণত হল ইজরায়েল-ইরান

How the Israel-Iran Conflict started from the former friend country: দুটি দেশ ইরান ও ইসরাইল (Israel-Iran Conflict) আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একে অপরের চরম শত্রু। এই দেশ দুটির মধ্যে শুরুর দিকে ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যখন বিশ্বের কোন দেশ ইজরাইলকে দেশ হিসাবে মানতেই রাজি ছিল না, সেই সময় ইরান ইসরাইলের পাশে দাঁড়ায়। ইরানই প্রথম ইসরাইলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। খুব স্বাভাবিক নিয়মেই দুটি দেশের মধ্যে অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু হঠাৎই সেই বন্ধুত্ব এক ঝটকায় ভেঙে গেল।

ইরান ও ইসরাইল (Israel-Iran Conflict) হঠাৎ করে একে অপরের চরম শত্রু হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ইরানের তরফ থেকে ইজরাইলের উপর সামনে থেকে হামলা করা হয়েছে। ২০০ টিরও বেশি মিসাইল চার্জ করা হয়েছে দেশটির উপরে। ইজরাইলও যে এই হামলার উত্তর দিতে চাইবে তা অস্বাভাবিক নয়, ইতিমধ্যে ইসরাইলের তরফ থেকেও হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে ইরানকে। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে। হঠাৎ করেই সেই যুদ্ধের মাঝখানে ঢুকে পড়ে ইরান। ১.০৪.২০২৪ এ ইরানের দূতাবাসে হামলা চালায় ইসরাইল। এই হামলায় অনেকেই মারা যান। তাই এর বদলা নিতেই ইরানের পক্ষ থেকে ইসরাইলের উপর হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। ১৩.০৪.২০২৪ এ সত্যি সত্যি ইসরাইলের উপর মিসাইল হামলা চালায় ইরান।

এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, দুটো দেশের বন্ধুত্ব হঠাৎ করে শত্রুতায় পরিণত হলো কি করে? ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তাইনের বদলে নতুন একটি মুসলিম দেশ গড়ে ওঠে যার নাম ইসরাইল। কিন্তু এই দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে সমগ্র মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি। মধ্যপ্রাচ্যের কোন মুসলিম দেশ ইজরাইলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি ছিল না। ঠিক তখনই পাশে এসে দাঁড়ায় বন্ধু দেশ ইরান। ইরান হলো তুরস্কের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। সরাসরি ইসরাইল ও ইরানের (Israel-Iran Conflict) মধ্যে বন্ধুত্ব প্রকাশ্যে আনা না হলেও গোপনে একে অপরকে সাহায্য করতে থাকে দেশ দুটি।

আরও পড়ুন 👉 Israel Iron Dome Price: ড্রোন হোক বা মিসাইল, বছরের পর বছর ধরে ইজরায়েলকে রক্ষা করে আসা আয়রন ডোমের দাম কত!

ইরান ও ইসরাইলের (Israel-Iran Conflict) মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত হয় ১৯৭৯ সালে বিশ্বের ঐতিহাসিক ইসলামিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। এই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ক্ষমতায় আসে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইন। এরপরই সব পাল্টে যায়, ইরানের শাসক দল আমেরিকা আর ইসরাইলকে শয়তান দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর থেকেই ইরান ও ইসরাইলের (Israel Iran Conflict) মধ্যে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ শুরু হয়। দুই দেশই একে অপরকে হামলা করতে থাকে গোপনে, কিন্তু সরাসরি তা স্বীকার করতে নারাজ দুই দেশই। এতদিন এই যুদ্ধ “ছায়া যুদ্ধ” নামে পরিচিত ছিল। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তারা একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ তো দূরের কথা, দূতাবাস ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেয়।

যেকোনো প্রকারে একে অপরকে দুর্বল করে দেবার চেষ্টায় ব্রতি হয় দুই দেশই। ২০০৬ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লেবানান, তখনও লেবানানের পক্ষ নেয় ইরান। তবে ইসলামিক বিপ্লবের পর ইজরায়েল ইরান (Israel-Iran Conflict) কে অস্ত্র সরবরাহ করে বন্ধুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল। যদিও তা নিজের স্বার্থে, ইরাকের রোষের হাত থেকে বাঁচার জন্য। কিন্ত ইসরাইলের এই চেষ্টা বিফলে যায়।