নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রয়াত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফল না করলেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর। এছাড়াও অন্যান্য জায়গাতেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী মুহূর্তে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং বীরভূমের বেশ কিছু অংশে মিনি টর্নেডো লক্ষ্য করা যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকশো বাড়িঘর। আর এমত অবস্থায় সকলের মধ্যেই প্রশ্ন এখনো কি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসাবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত তিন দিনের তুলনায় আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। তবে হালকা ও বিক্ষিপ্ত ধরনের বৃষ্টি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। শুক্রবারও রাজ্যের একাধিক জেলায় মেঘলা আকাশ লক্ষ্য করা যাবে এবং স্থানীয়ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার বেশ কিছু জেলা যেমন বীরভূমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হলেও দুর্যোগ কাটতে এখনো সময় লাগবে রবিবার পর্যন্ত। এমনটাই জানানো হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শক্তি ক্ষয় করার পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তা অবস্থান করছে রাঁচি থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্ব এবং জামশেদপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
[aaroporuntag]
তবে এখনো পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে হাওয়ার দাপট। এর পাশাপাশি এর প্রভাবে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এই বাতাস এসে বাঁ দিকে বেঁকে যাওয়ার কারণে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। বীরভূম থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পর্যন্ত একটা লাইন ধরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রয়ে গেছে।