টাকা রাখার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন, কত টাকা আয় ছিল অর্পিতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনে ইডি। ইডি অর্পিতার বাড়িতে হানা দিতেই নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে। এরপরেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য।

অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া এই নগদ টাকা এবং অন্যান্য সম্পদ সব যে তার নয় সে এক প্রকার স্পষ্ট হয়েছে তদন্তে। অর্পিতা মোটা অঙ্কের কমিশনের লোভেই এই টাকা রাখতেন। ফ্ল্যাটে কমিশনের টাকা থাকতো একদিকে আর অন্যদিকে থাকতো কমিশন বাদে মূল টাকা। আর এই কমিশন নিয়ে চলতো রীতিমতো দর কষাকষি।

এমনকি কমিশন বৃদ্ধি না করলে সমস্ত কিছু সবার সামনে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, এমনই জানা যাচ্ছে। ২০১২ সালে একবার তো অর্পিতা ১০ কোটি টাকার নগদ নিয়ে মোবাইল সুইচড অফ করে পালিয়ে যান। কমিশন নিয়ে ঝামেলার জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা যায় এবং সেই ঘটনার পর প্রচন্ড চাপে পড়ে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও পড়ে অর্পিতাকে খুঁজে পাওয়া যায় মুম্বাইয়ে এবং হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পার্থ।

তবে প্রশ্ন হল কত টাকা কমিশন পেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? ২০১২ সালে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রতি লাখে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কমিশন পেতেন। একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে এরপর আরও একাধিকবার কমিশন বৃদ্ধি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চাপ দিয়েছেন অর্পিতা এবং সেই সকল চাপের পরিপ্রেক্ষিতে শেষমেশ ৩০ শতাংশ কমিশন দিতেন পার্থ।

বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত ওই খবর সঠিক হয়ে থাকলে অর্পিতা এই দুর্নীতির টাকা নিজের ফ্ল্যাটে রাখার পরিপ্রেক্ষিতে লাখে ৩০ হাজার টাকা কমিশন পেতেন। সেই মতো তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ কোটি টাকার কমিশন দাঁড়ায় ১৫ কোটি টাকা। জীবনে অভিনয় করে যে টাকা রোজগার করতে পারেননি অর্পিতা সেই টাকা দুর্নীতির ধন আগলে কামিয়েছেন তিনি।