নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন। এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য একে অপরকে বিভিন্ন ইস্যুতে দোষারোপ করে চলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রের থেকে আদায় করার জন্য দিল্লিতে অবস্থানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে এই প্রকল্পে কত টাকা করে মজুরি পান শ্রমিকরা? কেন এই প্রকল্প নিয়ে এত দড়ি টানাটানি?
দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যাতে কাজ পান তার জন্য ২০০৫ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই প্রকল্প সমান তালে চলছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সময় এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন হয়েছে। এই প্রকল্পে কর্মরত ব্যক্তিদের টাকা দেওয়া হয় মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় কর্মরত ব্যক্তিদের এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পে মজুরি হিসাবে যে টাকা দেওয়া হয়ে থাকে তা বিভিন্ন রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের অদক্ষ শ্রমিকরা যারা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করে থাকেন তারা তাদের কাজের দিনের ভিত্তিতে ৩৩১ টাকা করে মজুরি পান। বর্তমানে যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তাতে ১০০ দিনের কাজের এই মজুরি সরাসরি শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে।
কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ ন্যূনতম ১০০ দিন কাজ পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়ে থাকে। কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন অর্ধ দক্ষ, অদক্ষ বা দক্ষ শ্রমিকরা। কাজ হিসেবে দেওয়া হয় রাস্তা সারাই থেকে শুরু করে পুকুর খনন, খাল তৈরি করা, বনসৃজন করা ইত্যাদি। নারী-পুরুষ কোনরকম ভেদাভেদ ছাড়াই এই কাজে অংশগ্রহণ করা যায়। ১০০ দিনের কাজের জন্য আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে কাজ দিতে হয়। কাজ দিতে না পারলে বেকার ভাতা পাবেন আবেদনকারীরা।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে এমন বিবাদের মূল কারণ হলো, রাজ্য সরকারের দাবি এই প্রকল্পে তারা কেন্দ্রের থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা পাবে। এই টাকা তারা আটকে রেখেছে। তবে কেন্দ্র এবং বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা টাকা আটকে রাখেনি, বরং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাজ এবং কাজের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্র।