Bodyguard of Prosenjit: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী রাম সিং। কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ ছায়াছবিতে অভিনয় করার পর, তিনি তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছেন। যদিও রাম সিং তার অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন, তবে তিনি বলেছিলেন যে তিনি আকর্ষণীয় কিছু পেলে এরকম আরও অফার নেওয়ার কথা ভাববেন। যদিও তার জনপ্রিয়তা একজন সেলেব্রিটির থেকে কোনো অংশে কম নয়। সকলের মধ্যে কৌতুহল বেশি যে রাম সিং কত বেতন পান।
‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ ছবিতে রাম রাজু চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি একজন ফিল্ম স্টার ইন্দ্রজিতের বাউন্সার। সেই ছবিতে প্রসেনজিৎও অভিনয় করেছেন। ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে রাম সিং বলেন যে হঠাৎ এক দিন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি তার কাছে যান। তিনি রাম সিংকে বলেন যে তিনি রামকে শুটিংয়ের জন্য চান। রাম কী কেন এসব জিজ্ঞাসা না করেই রাজি হয়ে যান। এভাবে বডিগার্ড বা বাউন্সার থেকে সিনেমাতে পা রাখেন রাম সিং। এবার প্রশ্ন তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে কত টাকা বেতন হিসেবে পান।
আরো পড়ুন: অহনা’র চরিত্র থেকে কেন সরে আসলেন অভিনেত্রী রোশনি ভট্টাচার্য; অবশেষে সেই সত্যি সামনে এলো
চলুন জানা যাক আগে রাম সিং-কে? রাম সিং ৬ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা এবং ১১৫ কেজি ওজনের কালো স্যুট-প্যান্ট পরা রাম সিং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বডিগার্ড (Bodyguard of Prosenjit)। ৫, ১০ নয়, টানা ১৫ বছর ধরে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। এর আগে বছর দুয়েক সুপারস্টার দেবেরও বডিগার্ড ছিলেন৷ তারপর তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বডিগার্ড হিসেবে নিযুক্ত হন এবং তখন থেকেই টানা এখনও পর্যন্ত ওনার বডিগার্ডই থাকেন। বাটানগরে বাড়ি এবং ওই বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান সবাই রয়েছে। কিন্তু কাজের চাপে পরবিরে সময় কম দেন তিনি।
আরো পড়ুন: গভীর প্রেম থাকলেও তা পরিণতি লাভ করেনি, কেন অজয় জাডেজার হাত ছাড়লেন মাধুরী
এবার প্রশ্ন হল রাম সিং কিভাবে এই পেশাতে আসেন? শুধুমাত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই যে তার বডিগার্ড (Bodyguard of Prosenjit) হিসেবে কাজ করা শুরু হয় তেমনটি নয়। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আগে বডিগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা শুরু হলেও তিনি মাত্র ১২ বছর বয়সে কলকাতায় আসেন। বাবার সাথে প্রথম কলকাতায় পা রাখে রাম সিং। তার চেহারা স্বাস্থ্য ছোট থেকেই বেশ ভালো ছিল। যার জন্য সকলেই তাকে বডিগার্ড বা বাউন্সার হওয়ারই উপদেশ দিয়েছে বরাবর।
তাকে শাহরুখ খানের একটি ইভেন্টে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। তবে সেখানে শাহরুখ খান স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তিনি প্রথম বাউন্সার হিসেবে কাজ করেন। জীবনের প্রথম আয় হয় সেই ইভেন্ট থেকে পেয়েছিলেন মাত্র ১৫০ টাকা। যার মধ্যে ১০০ টাকা মাকে দিয়েছিলেন। তারপর তিনি পা রাখেন টলিউডে এবং দেবের কাছে কাজ পান। তারপর ধীরে ধীরে যোগাযোগ প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে এবং এখনো পর্যন্ত তিনি রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বডিগার্ড (Bodyguard of Prosenjit) হিসেবে। ব্যস্ত নায়কের সঙ্গে থাকতে থাকতে তিনিও প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যার ফলে পরিবারে কম সময় দেওয়া হয়। তবে শরীরচর্চায় কোন খামতি রাখেন না তিনি। তার কারণ তার এই সুস্থ, সবল এবং সুঠামো দেহটি তার কাজের মূল আকর্ষণ। যতদূর জানা গিয়েছে যে, তিনি প্রায় মাসে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার কাছাকাছি বেতন পান। যা বছরে ৮০ লক্ষ টাকাতে গিয়ে দাঁড়ায়।