তিহাড়ে অনুব্রতকন্যার সেলে বন্দিদের রোজগার কত জানেন! টাকার অঙ্ক শুনলে ভ্যাবাচ্যাকা খাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের ঠাঁই এখন তিহাড় জেলে (Tihar)। অনুব্রত মন্ডলের পাশাপাশি তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলেরও (Sukanya Mondal) ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে। বাবার গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে আট মাসের মাথায় সুকন্যা মন্ডল গ্রেপ্তার হন ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের সঠিক জবাব না দেওয়ার অভিযোগে।

সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হলে প্রথমে ইডি হেফাজত এবং বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়। জেল হেফাজতে সুকন্যা মণ্ডল এখন রয়েছেন বাবার পাশের ৬ নম্বর সেলে। অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল ছাড়াও এই একই জায়গায় রয়েছেন কয়েক’শ মহিলা বন্দি।

তিহার জেলে বন্দি থাকা মহিলাদের জীবন কেমন হয় তা নিয়ে ২০২২ সালে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিল। যে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, তিহার জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে কয়েক’শ মহিলাদের মধ্যে ৩৫ এর কাছাকাছি মহিলা রয়েছেন যারা দোষী সাব্যস্ত। বাকিরা বিচারাধীন। দোষী সাব্যস্ত এবং বিচারাধীন মহিলাদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন রয়েছেন বিদেশিনী।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২১ সালে তিহার জেলের মহিলা জেলের মধ্যে যে কাজ করেন তার জন্য তাদের ৭৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৪১ টাকা দিতে হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে। হিসাব অনুযায়ী তিহার জেলে বন্দি মহিলারা সেখানে কাজ করে কয়েক হাজার টাকা রোজগার করেছেন বছরে।

স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে জেল বন্দিদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। তবে কাজের পারিশ্রমিক দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম বৈষম্য নেই বলে জানা গিয়েছে জেল সূত্রে। জেল বন্দি মহিলারা সেলাই করা, এমব্রয়ডারি কাজ, ইমিটেশন গয়না বানানো, বেকারি ইউনিটে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও তারা ছবি আঁকা, পার্লারের কাজ, মেহেন্দির মতো কাজও করেন।

আবার কোন বন্দি পড়াশোনা করতে চাইলে তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং ও ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি কোর্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও জেল থেকে বের হওয়ার পর ঐ সকল মহিলারা যাতে নিয়োগ পান তার জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করানো হয়। মূলত অপরাধমূলক জগৎ থেকে পুরোপুরি ভাবে বেরিয়ে আসার জন্যই এমন বন্দোবস্ত করা হয়।