নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি হানা দিতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই হানায় একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা এবং সোনা দানা। সপ্তাহ কয়েক আগেই রাজ্যের প্রাক্তণ শিক্ষামন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এর পাশাপাশি সম্পতি ইডি দেশের বিভিন্ন জায়গায় এইভাবে হানা দিয়ে অবৈধভাবে মজুত রাখা টাকা পয়সা এবং সোনাদানা উদ্ধার করছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের মধ্যে একটি প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বাড়িতে ঠিক কত পরিমাণ সোনা রাখা যায় অর্থাৎ কতটা সোনা রাখলে তা বৈধ। বাড়িতে সোনা মজুত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর বিভাগের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে।
বাড়িতে সোনা মজুত রাখার বিষয়ে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় Central Board of Direct Taxes (CBDT)- এর তরফ থেকে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই নির্দেশিকা অনুসারে কোন ভারতীয় যদি সোনা কেনার অর্থের উৎস জানাতে পারেন তাহলে তার বাড়িতে যতখুশি সোনার অলংকার অথবা গয়না রাখার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
আয়ের সঠিক উৎস দেখানোর ক্ষেত্রে যেমন সোনা মজুত রাখার ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ নেই, ঠিক তেমনি আবার আয়ের উৎস দেখাতে না পারলে সে ক্ষেত্রে কি নিয়ম রয়েছে তাও বলা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে পুরুষরা যদি আয়ের উৎস দেখাতে না পারেন তাহলে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম সোনা বাড়িতে মজুদ রাখতে পারবেন।
আয়ের উৎস দেখাতে না পারা মহিলাদের ক্ষেত্রে ছাড় অবশ্য কিছুটা বেশি রয়েছে। সেক্ষেত্রে অবিবাহিত মহিলারা সর্বোচ্চ ২৫০ গ্রাম সোনার গয়না অথবা অলংকার মজুত রাখতে পারবেন এবং বিবাহিত মহিলারা সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম সোনার গয়না অথবা অলংকার মজুত রাখতে পারবেন।