নিজস্ব প্রতিবেদন : একাধিক দেশে বৈঠকের পর এবার G 20 সামিট হয় নতুন দিল্লিতে। ভারতে প্রথম এই সামিট হল, আর এই সামিট থেকে ভারত একাধিক সুবিধা পেয়েছে, যা চীনের মত দেশকে টক্কর দিতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল নতুন দিল্লির G 20 সামিট (G 20 summit)। তবে এই সামিট থেকে যেমন ভারত একগুচ্ছ সুবিধা পেয়েছে ঠিক সেইরকমই এই সামিট আয়োজনের ক্ষেত্রেও ছিল বিপুল খরচ। অন্যান্য আয়োজক দেশের তুলনায় ভারত অনেক বেশি খরচ করেছে এবং সেই অঙ্ক শুনলে আপনিও থ হয়ে যাবেন।
সেপ্টেম্বর মাসের ৯ এবং ১০ তারিখ নতুন দিল্লিতে ২৫ টি দেশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ভারতের সভাপতিত্বে যে সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে ছিল রাজকীয় অভ্যর্থনা। রাষ্ট্রনেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে সোনা রুপোর থালা বাসনে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্তের মতো ব্যবস্থাও ছিল। ভারত মণ্ডপম (Bharat Mandapam) এ কোন কিছুরই খামতি রাখা হয়নি। দুদিন ব্যাপী এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
এখন যদি খরচের কথা ধরা হয় তাহলে গত ১০ বছরে ২০১৩ সালে রাশিয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল এমন একটি শীর্ষ সম্মেলনের। যে শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার খরচ হয়েছিল ১৭০ কোটি টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল G 20 সামিট। যার জন্য অস্ট্রেলিয়ার খরচ হয়েছিল ২৬৫৩ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে চীনের সভাপতিত্বে যে G 20 সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল তার জন্য খরচ হয়েছিল ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা।
পরবর্তী বছরগুলিতে ২০১৭ সালে জার্মানি খরচ করেছিল ৬৪১ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনা খরচ করেছিল ৯৩১ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে জাপান খরচ করেছিল ২৬৬০ কোটি টাকা, পরে ইন্দোনেশিয়া খরচ করেছিল ৩৬৪ কোটি টাকা। সুতরাং এই খরচের তালিকা দেখে স্পষ্ট G 20 সামিটকে ঘিরে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই মোটা টাকা খরচ করেছে। সময়ের পরীক্ষার্থীতে আবার কোন কোন সময় সেই টাকার পরিমাণ কমেও গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ভারতে যে দুদিনের জন্য G 20 সামিটের আয়োজন করা হয়েছিল তার বাজেট রাখা হয়েছিল ৯৯০ কোটি টাকা। যদিও শেষমেশ অতিথিদের আপ্যায়ন সহ অন্যান্য সব কাজ শেষে এই খরচ দাঁড়ায় ৪১০০ কোটি টাকা। খরচের এই তালিকায় গত ১০ বছরে চীন সবার উপরে থাকলেও গত ৫ বছরে ভারত সবচেয়ে বেশি খরচ করল।